নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির ভ‚য়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবিরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত সোয়া ৮ টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের চান্দগাও খলিফা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা জন্য রবিবার রাত খাগড়াছড়ি পুলিশের ৩ টি টিম সম্ভাব্য সারা দেশে অভিযান চালায়। অবশেষে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সফল হয়। তাকে খাগড়াছড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির ভ‚য়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলামের ধারাবাহিক নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবির (৮) রবিবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায়। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবিরকে মৃত ঘোষণা করলে শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করে।
গত কয়েক দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম তাকে মারধর করে আসছিল। ধারাবাহিক মারধরে রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় আব্দুর রহমান আবির শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়লে ভ‚য়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদুর রহমানের নির্দেশে হাফেজ আমিনুল ইসলাম শিশুটিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক শারতি দাশ তাকে মৃত ঘোষনা করলে ভয়ে আমিনুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
আব্দুর রহমান আবির (৮) জেলার পানছড়ি উপজেলার আইয়ুব আলী মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মো. সারোয়ার হোসেন ও আমেনা বেগমের ছেলে।
ভ‚য়াছড়িস্থ বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদুর রহমান বলেন, আমি আছরের সময় বাড়িতে ছিলাম।তখন শুনি আবিরকে মারধর করা হয়েছে। তখন আমি বলি ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। পরে আবার ফোন আসে আবির মারা গেছে। তখন হাফেজ আমিনুল ইসলামকে বলি আপনি হাসপাতালে থাকেন। এরপর ফোন দিয়ে তাকে আমি পাই নাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গাছাবিল এলাকার পিসি দেলোয়ার হোসেন (অবঃ) এর ছেলে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পী চাকমা জানান, হাসপাতালে আনার প‚র্বেই মাদ্রাসায় ছাত্রটি মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্ত এর জন্য মর্গে রয়েছে। চিকিৎসকের মতে, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন ছিল।