নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যাওয়া বেশ কিছু এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। পানি সরে যাওয়ায় মানুষজন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তবে কিছু এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে আছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুর গড়াতে সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে আকাশ কিছুটা মেঘলা রয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিম্নাঞ্চল থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি সরে যাওয়ায় মানুষজন নিজেদের বাড়িতে পুনারায় ফিরে যাচ্ছে। যে কারণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খালি হতে শুরু করেছে। তবে টানা বৃষ্টি না হলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, বেশ কিছু এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি গতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
বন্যার পানি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার কালভার্ট থেকে পানি সরে গেছে। বর্তমানে খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটির জেলার পর্যটন নগরী সাজেকের সাথে যোগাযোগ চালু হয়েছে। আজ সকাল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করছে এবং সাজেক থেকে খাগড়াছড়িতে গাড়ি ছেড়ে আসছে।
খাগড়াছড়ি সাজেক কাউন্টারের লাইনম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, দুইদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাজেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল থেকে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২০-২৫টি গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। খাগছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কালভার্ট এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং কালভার্টটি ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার সাথে সাজেকের দুইদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেক পর্যটক আটকা পড়ে।