নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির রামগড়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৯) নামে প্রবাসীর নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) উপজেলার লামকুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাত মাস আগে বাহরাইন প্রবাসী ও লামকুপাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফেরদৌসি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছ বললেও নিহতের স্বজনদের দাবি এ মৃত্যু ‘সন্দেহজনক।’
পুলিশ মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে নিহতের লাশ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাকালের মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদেন্তর জন্য।
ফেরদৌসির শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায়, সোমবার প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না বেধে গলায় ফাঁস দেয় সে। ঘটনা টের পেয়ে বাড়ির লোকজন দ্রুত এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ন্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের চাচা আবু আহম্মদ জানান, দুপুরে খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে তাকে ফেরদৌসির শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায় সে না কি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আত্মহত্যা বলে আমি স্বীকার করি না। এ মৃত্যু সন্দেহজনক।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার ভাতিজিকে কারণে-অকারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। কিন্তু মান- সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতো না।’ তিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ফেরদৌসির মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের দাবি জানান।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। নিহতের চাচার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।