শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

আদা কিংবা তুলসি চা- যখন তখন পান করলে উপকার মিলবে না।

ডেস্ক রিপোর্ট::বর্ষায় গরম থেকে কিছুটা মিললেও দেখা দেয় নানান রকমের রোগ। টাইফয়েড, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো পানি ও মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও ত্বকের সমস্যা ও পরিপাক তন্ত্রের সমস্যাও দেখা দেয়।

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলা, মশা নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

আর গরম চা পান করা এই সময় উপকার করে।

নানান রকম আরামদায়ক চা রয়েছে। হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই বিষয়ে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ক্রিড়া ও কার্যক্ষমতা পুষ্টিবিদ দীপিকা ভাসুদেভান।

আদা চা: আদা চা হজমের সমস্যা, বমি বমিভাব এবং প্রদাহ কমাতে পারে।

ভাসুদেভান বলেন, “রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বর্ষার স্বাস্থ্যগত সমস্যা কমাতে আদা চা উপকারী।”

হিবিসকাস বা জবা চা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রক্ত চাপ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হৃদস্বাস্থ্য ও যকৃতের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

মসলা চা: বৃষ্টিতে এক কাপ ব্ল্যাক টি’র সাথে আদা, দারুচিনি, এলাচ যোগ করলে বেশ মজাদার হয়।

ভাসুদেভানের মতে, “এসব মসলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ এবং প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ- যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। বর্ষায় সুস্থ থাকতে প্রদাহ, ‘ফ্রি রেডিকেল’ ও অক্সিডেটিভ চাপ থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া, উষ্ণ চা এই মৌসুমে আরাম দেয়।”

পুদিনার চা: পেট ফোলাভাব, হজমে সমস্যা এবং পাকস্থলীর অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে, যা বর্ষাকালে হওয়া রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখে।

তুলসি চা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। আর বর্ষাকালে হওয়া অসুখ ও অস্বস্তি থেকে দূরে রাখতে পারে।

দারুচিনির চা: দারুচিনিতে আছে উষ্ণতা বর্ধক গুণাগুণ। এটা প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা বর্ষার কারণে হওয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে।

ক্যামোমাইল চা: মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থাকলে ক্যামোমাইল চা পান করলে আরাম দেয়। মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। ভাসুদেভানের মতে, “ক্যামোমাইল চা মৌসুমি অসুস্থতা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধভাব এমনকি মাসিকের ব্যথা উপশমেও সহায়তা করে।”

চা পানের নিয়ম-

প্রচলিত চা যেমন- মসলা ও আদা চা বিশেষ করে চা পাতা ও দুধ দিয়ে তৈরি করা চা খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা পরে খাওয়া উপকারী। কারণ এতে থাকা ‘ট্যানিন’ খাবার থেকে লৌহ শোষণে বাধা দেয় এবং লৌহের ঘাটতির ঝুঁকি বাড়ায়।

দিনে একাধিকবার চা পান করা বিশেষ করে খাবারের সাথে গ্রহণ করা এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে এবং ক্ষুধাভাব কমায় ও উদ্বেগ বাড়ায়।

অন্যদিকে পুদিনা ও দারুচিনির চা- খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পান করা উপকারী। এসব চা হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি পাকস্থলী সুস্থ ও সচল রাখে।

একেক অবস্থার জন্য একেক ধরনের চা উপকারী। আবার একেকজনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা ভিত্তিতে চা বাছাই করা উচিত, বিশেষ করে বৃক্কের সমস্যা থাকলে ও ওষুধ গ্রহণ করলে।

তাই ভেষজ চা নির্বাচনের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

মাসিকে চা নয়
চা কফির বিধিনিষেধ
জিরা, মৌরি, দারুচিনির পানীয় যেভাবে ওজন কমায়

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!