প্রেসবিজ্ঞপ্তি:: পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির জেলার ৩ জেলা প্রসাশকগণকে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে এইচআরপিবি এর পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ কর্তৃক লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের বিভিন্ন ইটভাটা মালিকরা রীট পিটিশন দায়ের করলে শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ রীট পিটিশন খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে ইটভাটা মালিকগণ আপিল বিভাগে ২টি আপিল দায়ের করলে মাহামান্য আদালত আপিল নিস্পত্তি করে রায় দেন এবং চেম্বার কোর্টে স্থিতিবস্থা ভ্যাকেট করেন।
উপরোক্ত আপিলদ্বয়ের স্থিতিবস্থা ভ্যাকেট হওয়া স্বত্ত্বেও ইটভাটা মালিকেরা প্রশাসনের সামনে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু অবৈধ ইটভাটা বন্ধে মহামান্য আদালতের নিদের্শনা থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সে কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ ধ্বংশ হচ্ছে। অন্যদিকে এইচআরপিবি এর করা জনস্বার্থের মামলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এক নির্দেশনায় সকল জেলা প্রশাসকদের অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিদের্শ দিয়েছেন।
সে বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে জেলা প্রসাশক (১) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙ্গামাটি), (২) মো: শহিদুজ্জামান (খাগড়াছড়ি) এবং (৩) মিসেস ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজী (বান্দরবান) কে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ জেলায় ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য এইচআরপিবি এর প্রেসিডেন্ট সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছেন। ১৯ জুন ২০২৩ ডাকযোগে এ নোটিশ প্রেরন করা হয়।
লিগ্যাল নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। নতুন সরকারি চাকুরি আইন ২০১৮ অনুসারে অসাদাচারন এর দায়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে আদালতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।