আল-মামুন, খাগড়াছড়ি:: শীতল পানিতে নিজেদের গাঁ ভাসিয়ে আত্ম নির্ভরশীল করে পানিতে জীবন বাঁচাতে ভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়েছে লুটাস সুইমিংপুল। এ সুইমিংপুলে সাঁতার শেখাতে ছুটে আসছে যুবক থেকে বৃদ্ধ। অভিভাবকরা তাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্ভর জীবন গঠনে শেখাতে আসছেন লুটাস সুইমিংপুলে।
আথুই মারমা নামের এক মধ্য বয়সী যুবক ২০২৩ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠা এ লুটাস সুইমিংপুলের কাজ শুরু করেন। ৬০ শতক জায়গার মধ্যে,বাচ্চাদের খেলাদুলার ব্যবস্থাসহ চলমান রয়েছে রেস্টুরেন্টের কাজও। খাগড়াছড়ি শহরের মধ্য স্পর্ট পানখাইয়াপাড়ার সিস্টেম রেস্টুরেন্টের পাশেই লুটাস সুইমিংপুল এর অবস্থান।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আথুই মারমা জানান, বর্তমান সময়ে সাঁতার জানাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে জীবনের প্রয়োজনে বাধ্যতামলকও। তাই এক দিকে বিনোদন স্পর্ট,অন্যদিকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নিজেদের আত্ম নির্ভরশীল করে গড়ে তোলার কথা মাথায় রেখে সকল বয়সীদের জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পাশাপাশি “সুস্থ দেহ সুন্দর মন,সাঁতার শিখুন নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন” স্লোগানে পথচলা লুটাস সুইমিংপুল মাদককে নিরুৎসাহীত করতেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠাতা আথুই মারমা। তিনি আরো জানান, ভর্তি ফি ১৫শ টাকায় রবি,সোম ও মঙ্গলবার সপ্তাহে ৩দিন প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে মাসিক এক হাজার টাকা ও বৃহস্পতিবার,শুক্রবির ও শনিবার ১ ঘন্টা করে ১৫শ টাকায় সুবিধা রাখা হয়েছে সকলের জন। নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা সময়ে সাঁতারের ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সাথে রয়েছে কপি হাউজ থেকে শুরু করে রয়েছে খাবার রেস্টরেন্টও।
বাবার সাথে সাঁতার শিখতে আসা জিসান বলেন, আমি সাঁতার জানিনা। ঠান্ডা পানিতে গোসলও করবো,বাবা আমাকে সাঁতারও শেখাবে তাই সুইমিংপুলে এসেছি। আনন্দ প্রকাশ করে ৭ উর্ধ্ব জিসান নিজে সাঁতার শিখে,অন্যদেরও সাঁতার শেখাবে বলে উৎসাহ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে সাঁতারু মংনু ও সুপ্রিয় জানান, কৌলাহলের জীবনে লুটাস সুইমিংপুল প্রশান্তি এনে দিয়েছে। একদিকে অনুশীলন করা যাবে পাশাপাশি সময় কাটবে বিনোদনে। এ ভিন্ন রকমের উদ্যোগ সাঁতারুদের উৎসাহ জোগাচ্ছে বলে মত প্রকাশ তারা।
লুটাস সুইমিংপুল এর মতো বিনোদন স্পর্টসহ সেবামুলক উদ্যোগের সাথে নিজেদের আত্ম নির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারী সহায়তা পেলে বেকাররা নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান করে নিজেদের বেকারত্ম দুরে মাদকের বিরুদ্ধে পথচলাসহ সাঁতারে উৎসাহিত করতে পারবে পার্বত্যবাসীদের এমনটাই মনে করেন সচেতনরা।