নুরুল আলম:: সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল “রুপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য, নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বগঠন”।
রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ক্যান্সার,প্যারালাইজডসহ বিভিন্ন জটিল রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা সমাজসেবা বিভাগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য শাহিনা আক্তার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় জেলজ সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রোকেয়া বেগম’র সঞ্চালনায় অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক উল্লেখযোগ্য অংশ বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধিতার শিকার। বিপুল সংখ্যক শিশু অটিজম ও স্নায়ুবিকাশজনিত জটিলতায় ভুগছে। এ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও পুর্ণমর্যাদা বা অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকা ও বসবাসের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারবে।
বাংলাদেশ এ সনদে স্বাক্ষর ও অপশনাল প্রটোকলসমূহে অনুসমর্থন করে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী বান্ধব বর্তমান সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে বহুমাত্রিক ও নিবিড় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার এ ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা, কর্মসংস্থান ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় আনয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম,জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, শহর সমাজসেবা অফিসার নাজমুল আহসানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।