নুরুল আলম: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা সেনা রিজিয়ন কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, শিক্ষা বিস্তার, মানবিক সহায়তা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা আয়োজন করেছে।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তাদের অবদানকে স্মরণ করে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন গুইমারা কলেজিয়েট স্কুল মাঠে অত্র অঞ্চলের ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও খাগড়াছড়ির গুইমারায় স্থিতিশীলতা এবং শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যানমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৫ মার্চ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে ২হাজার পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও ফলজ গাছের চারা, ৮টি কলেজের ১শত ৬৫ জন পাহাড়ী-বাঙ্গালী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ, বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনের লক্ষে ১শত ৫০ পরিবারে মাঝে পানির ফিল্টার, বিদ্যুৎ বিহীন ২০ পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেল, বেকারত্ব দূরীকরণে স্বনির্ভরতার সুযোগ ও সুবিধা বঞ্চিত ২০ পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবার যাতে বৃষ্টিতে না ভেজে এ লক্ষ্যে ২০ পরিবারের মাঝে ২০ বান ঢেউটিন, একজন পঙ্গু ব্যক্তিকে হুইল চেয়ার এবং ১৯ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন প্রধান অতিথি কমান্ডার ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এবং গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামাল মামুন, বিএএমএস, এনডিসি, পিএসসি, জি। এছাড়াও ১হাজার ২শত অসুস্থ ব্যক্তিকে গাইনী, ডেন্টাল ও মেডিসিন সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও আমরা গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছি। এ ধারা ভবিষৎতেও অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এ সময় গুইমারা রিজিয়নের অন্যান্য সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।