নুরুল আলম:: মায়াবিনী একটি লেকের নাম। চারদিক পানিতে ঘেরা আর মাঝে রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ। বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়েই যেতে হয় এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে। তিন দিনের টানা ছুটিতে দৃষ্টিনন্দন মায়াবিনীতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।
কথা হয় ঢাকা থেকে আসা সরকারি কবি নজরুল কলেজের প্রফেসর জাফর আহাম্মদ দম্পত্তির সাথে। তারা জানান, বাঁশের তৈরি সেতু দিয়ে এ দ্বীপ থেকে ও দ্বীপ যেতে ভালোই লেগেছে। মুক্ত হাওয়া, লেকের স্বচ্ছ পানিতে মাছ ভেসে বেড়ানো, নানান পাখির কলকাকলি মন মাতিয়ে তুলেছে। লেকের পানিতে নিজ হাতে বৈঠা বেয়ে নৌকা চড়ার মজাটাই আলাদা বলে জানান তারা।
মায়াবিনীর চারিপার্শ্বে বাঁশবাগানের পাশাপাশি রয়েছে নানান জাতের আম্রকানন, সেগুন বাগান, আখ ক্ষেত, ড্রাগন ও বাঁশ বাগান। ঘুঘু, শালিক, হট টি টি, বকসহ নানান পাখির কলকাকলি আর উড়ে বেড়ানোর দৃশ্যটাও বেশ মনোমুগ্ধকর। পানছড়ির উপজেলার ৪নং লতিবান ইউপির কংচাইরীপাড়ায় এর অবস্থান। কংচাইরী পাড়াটিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে উপজেলায় সেরা।
জানা যায়, কংচাইরী পাড়া একতা মৎস্য চাষ সমবায় সমিতির মাধ্যমেই এটি পরিচালিত হয়। সমিতির সভাপতি অংহ্লাপ্রু মারমা জানান, প্রায় চল্লিশ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে লেকটি। লেকটিকে আরো আধুনিকায়ন করে বিনোদন সামগ্রী দিয়ে সাজালে মায়াবিনী হবে জেলা সেরা।