নুরুল আলম:: ছুটিতে খাগড়াছড়িতে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক এসেছে। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে এখন উপচে পড়া ভিড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঝর্ণার শীতলতায় গা ভাসাতে পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটক। হোটেল-মোটেলে সব আগাম বুকিং। দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকটও। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে আলুটিলা পর্যটন পার্ক এম্ফিথিয়েটারে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
খাগড়াছড়ির আলুটিলার পর্যটন কেন্দ্র, জেলা পরিষদ পার্কের জুলন্ত সেতু, রিছাং ঝর্ণাস, আলুটিলা রহস্যময় সড়ুঙ্গ, মায়াবিনী লেকসহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকায় রাত পর্যন্ত পর্যটকরা ঘুরছেন নিবিঘ্নে। অতিরিক্ত পর্যটকের ভারে যেমন পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে তেমনি হোটেল-মোটেলেও সিট নেই। ফলে আসার আগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আসতে হবে। অন্যথায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম দৃশ্য, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি তৈরির নজরকাড়া হাজারো চিত্র। চারপাশে বিছিয়ে রাখা শুভ্র মেঘের চাদরের নিচে রয়েছে সবুজ বনারাজিতে ঘেরা ঢেউ খেলানো অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়। তার মাঝ দিয়ে চলে গেছে আঁকা-বাঁকা সড়ক।
খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে আলুটিলা পর্যটন পার্ক এম্ফিথিয়েটারে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে খুশি পর্যটকরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের থাকার-খাওয়ার রয়েছে বহু হোটেল- রেস্টুরেন্ট। বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরাও খুশি।
খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া জানান, টানা ছুটিতে খাগড়াছড়িতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছে। এর ফলে বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি গাইরিং হোটেলের ম্যানেজার জানান, খাগড়াছড়ির সবকটি হোটেল বুকিং হয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আবুল কাশেম জানান, খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পর্যটন স্পটে নিয়োগ করা হয়েছে পোশাকের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঝর্ণার শীতল পানি আপনাকেও হাত ছানি দিয়ে ডাকছে। খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের থাকার-খাওয়ার জন্য রয়েছে বহু হোটেল- রেস্টুরেন্ট। তবে আসার আগে আবাসন ও আসা-যাওয়ার পরিবহন নিশ্চিত করে আসবেন। অন্যথায় বিরম্বনার শিকার হবে।