শিরোনাম
বুধ. ডিসে ২৫, ২০২৪

গুইমারাতে রমজান হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নুরুল আলম:: ২৪ ঘন্টার মধ্যে রমজান হত্যাকারীদের গ্রেফতার না হলে কঠোর কর্সূচি গ্রহণ করা হবে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির রজতজয়ন্তী (২৫তম বর্যপূতি) দিনে বাঙ্গালীর রক্তে পার্বত্য জনপদ রক্তাক্ত করার (গলাকেটে হত্যার) প্রতিবাদে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্ত মুলক বিচারের দাবীতে গুইমারা উপজেলা জালিয়াপাড়া শহীদ জিয়া স্মৃতি চত্তরে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ গুইমারা উপজেলা শাখা আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটামদেন বক্তারা।

শানিবার (৩ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ গুইমারা উপজেলা শাখার সভাপতি মো.আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদ আলমঙ্গীর হোসেন, সহ সভাপতি এইচ এম হেলাল, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠিক সম্পাদক, ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫বছর পূর্তি হলেও পার্বত্য চট্রগ্রাম বাসীরা এখনও নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য আর ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতার শিকার হচ্ছে নিরস্ত্র বাঙ্গারীরা। যার দৃষ্টান্ত রমজান আলীর হত্যাকান্ড।” বক্তরা হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, “পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে সিনিমিনি খেলা বন্ধ করুণ, অন্যথায় পালাবার পথ খুজে পাবেন না।” বক্তারা ৩৬ হাজার বাঙ্গালী হত্যার নায়ক সন্তু লারমার বিচারের দাবী করে জালিয়াপাড়া-মহালছড়ি সড়কে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প পূর্নস্থাপনে দাবী জানান এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে রমজান হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ তথা পার্বত্য সাধারণ জনগন কঠোর কর্সূচি গ্রহণ করবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইয়ুব আলী বলেন, প্রাকৃতিক ভূস্বর্গখ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙ্গালী আমরা একই বৃত্তে দুটি ফুল। কিন্তু এক শ্রেণীর পার্বত্য চুক্তি বিরোধি দুর্বৃত্ত্বরা প্রতিনিয়ত আমাদের এই পারষ্পরিক ভালবাসায় ইর্ষান্বিত হয়ে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। রমজান হত্যাকান্ড তারই ইঙ্গিত বহন করে। তিনি পাহাড়ি-বাঙ্গালী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্ত দূর্বৃত্ত্বদের প্রতিহত করার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ২ডিসেম্বর যখন ঘোটা পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি চুক্তির রজতজয়ন্তী (২৫বর্ষপূতি) উদযাপিত হচ্ছে, তখন দূবৃত্তরা রামজান আলী নামে বাঙ্গালী এক যুবককে গুইমারা উপজেলা সিন্দুকছড়ির পঙ্খীমুড়া এলাকায় গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!