নুরুল আলম:: ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৫তম বার্ষিকী (রজত জয়ন্তী) উপলক্ষ্যে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন গুইমারা রিজিয়ন কর্তৃক নানাবিধ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
গুইমারা রিজিয়নের সকল জনসাধারণ ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে আয়োজিত সকল কর্মসূচীতে স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই ঐতিহাসিক দিবসে গুইমারা রিজিয়ন সম্প্রীতি র্যালি, আলোচনা সভা, মানবিক সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, সম্প্রীতি মেলা, প্রীতি ফুটবল খেলা এবং মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় জালিয়াপাড়া বাজার থেকে সকল জনসাধারণ কাধে কাধ মিলিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করে গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি সমাপনান্তে গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামাল মামুন, বিএএমএস, এনডিসি, পিএসসি, জি, কমান্ডার ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এবং রিজিয়ন কমান্ডার গুইমারা রিজিয়ন। উক্ত আলোচনা সভায় মেয়র রামগড়, উপজেলা চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ গুইমারা কলেজ, পাহাড়ি ও বাঙ্গালী শিক্ষার্থী বক্তৃতা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। উক্ত আলোচনা সভায় রিজিয়ন কমান্ডার পার্বত্য শান্তি চুক্তির সাফল্য হিসেবে পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর অবদান বর্ণনা করেন।
আলোচনা শেষে সম্প্রীতি মেলা উদ্বোধন, মানবিক সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান থাকে। এছাড়াও গরীব ও দুস্থ্য জনসাধারণের মধ্যে ১শত ৫০টি শীতবস্ত্র, ১০টি সোলার প্যানেল, ১০টি সেলাই মেশিন, ১১টি পরিবারকে গৃহনির্মানের জন্য আর্থিক সহায়তা, ৬টি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা, ২৭জনকে চিকিৎসার জন্য অনুদান এবং ২০ টি দুস্থ্য পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ সর্বমোট ২২৮টি পরিবারের মাঝে বিভিন্ন মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিকাল ৩টায় গুইমারা সরকারি কলেজ মাঠে প্রীতি ফুটবল খেলা আয়োজন করা হয়। যেখানে পাহাড়ি বাঙ্গালী জনসাধারণের অংশগ্রহণে একটি উপভোগ্য প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি কর্তৃক খেলায় অংশগ্রহণকৃত সকলের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরিশেষে গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
পরিশেষে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, গুইমারা রিজিয়নে নিয়োজিত সেনা, বিজিবি, আনসার, পুলিশসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে।