নুরুল আলম:: বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে র্যাব এবং ডিজিএফআই এর মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে ১৪ নভেম্বর ২০২২ রাত ৭টায় মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তমব্রু এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআই এর একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন। একই ঘটনায় র্যাবের আরো একজন সদস্য আহত হয়েছে। আইএসপিআর এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় নিহত হন ডিজিএফআই কর্মকর্তার নাম স্কোয়াড্রন লিডার রেজোয়ান (বিমানবাহিনীর অফিসার)। নিহত বিমান বাহিনীর অফিসারের স্ত্রীও একই পদমর্যাদার একজন বিমান বাহিনীর একজন চৌকস অফিসার।
সোমবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশ ফাঁড়ি সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে মাদক চোরাকারবারী ও র্যাবের সদস্যসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় র্যাবের এক সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আহত র্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাত পৌনে ১০টার দিকে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া র্যাব সদস্য সোহেল বডুয়াকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাধ্যমতো তার চিকিৎসা চালিয়ে যান। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সোহেল বড়ুয়া পুলিশ থেকে প্রেষণে র্যাবে যুক্ত হন। তিনি র্যাব-১৫ তে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায়। তার বাবার নাম অশোক কুমার বড়ুয়া। সোহেল দুই সন্তানের জনক।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে মিয়ানমার সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাদক কারবারিদের হামলায় এই র্যাব সদস্য গুরুতর আহত হন। তবে এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানিদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের ওই কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন।