শিরোনাম
বুধ. ডিসে ২৫, ২০২৪


নুরুল আলম:: রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসনকে কাপ্তাই লেকে আর কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ, মাটি ভরাট ও জবরদখল প্রতিহত করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জানিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতের কাছে এ বিষয়ে একটি (কমপ্লায়েন্স) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) একটি রিট আবেদনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লেকে একটি নিরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে অবৈধ দখলদারিদের চিহ্নিত করে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের তালিকা জমা দেওয়া যায়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন, কেন কাপ্তাই লেকে জবরদখল, মাটি ভরাট ও অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রয়তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ কাপ্তাই লেকে জবরদখল, মাটি ভরাট ও অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে এবং একে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের সহায়তা চেয়ে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করে, যার বিপরীতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ ও রুল জারি করেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) রিট আবেদনের শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কাজী মাইনুল হাসান অংশ নেন।

অপরদিকে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকের অবৈধ দখল সংক্রান্ত বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলার মহালছড়িসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্থানে সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন নিরব থাকায় উপজেলা প্রশাসনের অদক্ষতা এবং স্বজনপ্রীতির কারনে পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। কিন্তু ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টে রিটে জবরদখল সংক্রান্ত নিশেধাজ্ঞা ও কারণ দশানোর প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন কাপ্তাই লেকের অবৈধ দখল বিরোধী ব্যক্তিবর্গরা।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!