শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

প্রকল্পের কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: প্রকল্পের কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সাংবাদিকরা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সুবির কুমার চাকমা কর্তৃক উপজেলায় ২০১৬-২০২০ অর্থ বছরে ২৩টি গৃহীত সংযোজিত উন্নয়ন প্রকল্প সমুহের কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচার এর মাধ্যমে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে দুদকের নিকট দয়াল কুমার চাকমা অভিযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
দয়াল কুমার চাকমা অভিযোগ এ বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সুবির কুমার চাকমা এতৎসঙ্গে সংযোজিত উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের কোন কাজ না করে ১০০% কাজ সম্পাদনের প্রত্যয়ন দিয়ে ভুয়া বিল,ভাউচারের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এ বিষয় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৫ আগস্ট ২০২০ মহাপরিচালক (অনুসন্ধান) দূর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা এবং ২০ অক্টোবর ২০২০ উপপরিচালক দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বরাবর অভিযোগ করে। অভিযোগকৃত উন্নয়ন প্রকল্প সমুহে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা সংবাদ পরিবেশন করেন। কিন্তু তাতেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
গত ২৩ অক্টোবর ২০২০ দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কয়েকটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় গত ০৩ অক্টোবর ২০২১ ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারমম্যান বরাবরে পূনরায় অভিযোগ করলে দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাঙ্গামাটির সহকারি পরিচালক আহমদ ফরহাদ দয়াল কুমার চাকমা এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল ২০২২ বরকল উপজেলাধীন ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কামিনী চাকমার জমির উপর মৎসাবাদ ও পাঁকা সেচ ড্রেইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
গত ৯জুন ২০২২ বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাধ হইতে হারুনাটিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি রাস্তা সংস্কার প্রকল্প (রাস্তা ১-২ কিঃমি) পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রকল্প কাজের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাঙ্গামাটির সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ গত ৩১জুলাই ২০২২ দয়াল চাকমারকে তাঁর কার্যালয়ে যেতে বলেন, সেদিন তার সঙ্গে সাফাত কালে বাকি প্রকল্প সমূহে কবে নাগাদ পরিদর্শন/অনুসন্ধান করবেন বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত্রের অগ্রগতি হচ্ছে।
উল্লেখিত ২৩ প্রকল্পের দূর্নীতির বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকরা বেশ কিছু প্রকল্প পরিদর্শন করে দেখে প্রায় বেশির ভাগই প্রকল্প অসমাপ্ত কিংবা কাজ করাই হয়নি। সাংবাদিকদের সাথে এলাকাবাসীর আলাপকালে তারা বলেন, প্রকল্পের নামে অর্থ লুটপাট চলছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও প্রসাশনিক ভাবে কোনো সুফল কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। তাই এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে এসকল দূর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য সুবির কুমার চাকমার সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেনি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দূর্নীতির বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাঙ্গামাটির সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তদন্ত কার্যক্রব অব্যহত আছে। খুব শীঘ্রই তদন্তের প্রতিবেদন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবরে প্রেরণ করা হবে।
সুবির কুমার চাকমা ২কোটি ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান দয়াল কুমার চাকমা ও সচেতন মহল।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!