নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলায় ৭৮টি গুচ্ছগ্রামে প্রায় ২৭ হাজার কার্ড ধারী রয়েছে। তার মধ্যে হতদরিদ্র গুচ্ছগ্রাম বাসিরা দ্রব্য মূল্যে উদ্ধোগতি এবং কর্মহীন হয়ে পরায় অনেকের রেশনকার্ড বন্ধক দিয়ে থাকে। রেশন কার্ড বন্ধকীয় দলিলে কার্ডধারীদের কিছু রেশন দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও সিন্ডিকেট চক্র শর্ত বঙ্গ করে কোনো চাউল ও গম দেয়না।
এছাড়াও অসহায় গুচ্ছগ্রামবাসি রেশন এর চাল বিক্রয় করার জন্য সিন্ডিকেট চক্রের নিকট আসলে প্রতি কেজি চাল থেকে বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা কম হারে চাল ক্রয় করে। অথচ দেখা যায় প্রতি ৩ ডিও রেশন এর বাজার মূল্য অনুসারে দাম আছে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ হাজার আর সিন্ডিকেট চক্রের নিকট চাল বিক্রয় করতে গেলে তারা ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে। অন্যদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় গুচ্ছগ্রামের বাঙালি রেশন কার্ড হোল্ডারদের মাঝে পচা গম বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রেশন এর চাল বিতরনের কেন্দ্র গুলো এই প্রতিনিধি পরিদর্শন করে লক্ষ করে, খাগড়াছড়ি জেলার গুচ্ছগ্রামগুলোতে চলছে অনিয়ম, দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রেশন বিতরন। হতদরিদ্রদের ও গুচ্ছগ্রাম বাসীর রেশনের চাউল বানিজ্যে মেতে উঠেছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। তারা অগ্রিম টাকা দিয়ে সল্প মুল্যে চাউল ক্রয় করে সমতলে পাচার করছে সিন্ডিকেট চক্র। সূত্রে জানাযায়, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৭৮ গুচ্ছগ্রামে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজারে বেশি রেশন কার্ড ধারীদের থেকে কার্ড বন্ধক নিয়ে কার্ডধারীদের কোনো চাল না দিয়ে ক্রয়ের অযুহাতে সিন্ডিকেট চক্র চাউল গুলো উত্তোলন করে নিয়ে যায় এবং কার্ডধারীদের টিপ/স্বাক্ষর ছাড়াই রেশন উত্তোলন করে নিয়ে যায় উক্ত রেশন কার্ড বন্ধক সিন্ডিকেট চক্র।
বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে এক কেজি চাউলের মূল্য ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, আর কার্ডধারীদের চাউলের মূল্য ধরা হয় সর্বোচ্চ ৩৫-৩৮ টাকা কেজি। আবার গমের দাম প্রতি বাজার মূল্য ৪০-৪৫ টাকা কেজি হলেও কিন্তু কার্ডধারীদের প্রতি কেজি গমের দাম ৩০-৩৫ টাকা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
রামগড় উপজেলা পাতাছাড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী মো: আলমগীর হোসেন এর নিকট রেশন বিতরনে অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার গুচ্ছ গ্রামে ৩শত পরিবারের মাঝে ১শত ৪ কেজি চাল এবং ১শত ৪৪ কেজি গম স্বচ্ছ ভাবে বিতরণ করছি। তবে গুচ্ছ গ্রাম সমিতির চাঁদা এবং ক্যারিং খরচ নিয়ম অনুসারে নিচ্ছি।
অপরদিকে একই এলাকার এক গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারী ব্যক্তি বলেন, যারা রেশন এর ডিও বিক্রি করছে তারা তিন ডিও রেশন বাবদ পাচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ প্রতি ডিও বাবদ ২ হাজার ৫শত টাকা হারে বিক্রি করতে হচ্ছে কার্ডধারীদের রেশন। অথচ বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম হাকাচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আর গম ৪০-৪৫ টাকা।
অন্যদিকে পানছড়িতে রেশন এর গম দিচ্ছে পঁচা। যা খেয়ে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে জনগনের পাওনা যেন জনগন পায় তার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মিডিয়ার সকল সাংবাদিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করে সুষ্ঠ তদন্ত করার দাবি জানায়।