নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলায় বিভিন্ন বন্যপ্রানী স্বীকার বন্ধ ও সংরক্ষণের উদ্দ্যেগ নিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার বিভাগীয় বনকর্মকর্তা হুমায়ন কবির। বন্যপ্রাণী স্বীকার থেকে বিরত থাকা জন্য অনুরোধ জানান।
ইতিমধ্যে দুইটি উপজেলায় ২ আহত বন্যপ্রাণীকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবমুক্ত করায় বিভিন্ন মহলের সন্তুষ প্রকাশ করছে। গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের কালাপানি এলাকা থেকে বন বিড়াল আহত অবস্থায় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে ফরেষ্ট অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা অনুকর চাকমাকে খবর দেওয়া হয়। তখন রেঞ্জের সহকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত বন বিড়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আছে।
গুইমারার কালাপানি এলাকা থেকে আহত অবস্থায় এক বন বিড়াল উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাত বিড়ালটিকে রেঞ্জে নিয়ে আসা হয়। ১৮ জুলাই সোমবার গুইমারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এ নিয়ে আসেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করে বন বিড়াল সুস্থ্য ও স্বাভাবিক মনে হয়। তবে কিছুটু উত্তেজিত মনে হলেও অতিরিক্ত লোক সমাগমের কারনে এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জালিয়াপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা অনুকর চাকমার নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলোটিলা এলাকার সংরক্ষিত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা রেঞ্জ ও বন বিভাগে বন রক্ষি আব্দুল মন্নান, নিলা মহল চাকমা সহ অন্যান্য কর্মচারী বৃন্দ।
বিলুপ্ত প্রজাতির আহত “সজারু” চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত:
খাগড়াছড়ির রামগড় দক্ষিণ গর্জনতলী এলাকা থেকে সজারুটি আহত দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে খবর দেয় ফরেষ্ট অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তাকে খবর দেয়।
রেঞ্জের সহকারী কর্মকর্তারা লোকালয়ে চলে আসা আহত অবস্থায় একটি সজারু উদ্ধার করে। পরে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয় বিলুপ্ত সজারুটিকে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করে সজারুটিকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক মনে হয়। তবে কিছুটা উত্তেজিত মনে হলেও অতিরিক্ত লোক সমাগমের কারনে এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ১৮ জুলাই দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নাভাঙ্গা মৌজার বনাঞ্চলে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা হুমায়ন কবির এর নির্দেশে রামগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আজিম ও অন্যান্য কর্মচারীদের সহযোগিতা সজারুটি অবমুক্ত করা হয়।