নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও মহালছড়ির নির্বাহী অফিসারের তিন কর্মচারীর অনিয়ম, দূর্নীতি ও প্রতারণা। পানছড়ির দপ্তরি হয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে ড্রাইভার সেজে চালাচ্ছে ইউএনওর গাড়ি। মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬ শত ১৬ টাকা নিয়ে পলাতক নিরাপত্তা প্রহরী মো: ফারুক মিয়া (৪৩)। মহালছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ির ড্রাইভার স্বপন সরকারি জায়গা দখল সহ নানান অনিয়মে জড়িয়ে পরার অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, পলাতক ফারুক মিয়া গত ১৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ হইতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও মহালছড়ি উপজেলা প্রশাসন কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। ২মাস পরও সে ধরাছোয়ার বাহিরে। গত ১৬ই মে ২০২২ তারিখ সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের বিল ও মার্চ থেকে মে মাসের কম্পিউটার খাতের ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬শত ১৬ টাকার বিল নিয়ে পালাতক রয়েছে বলে মহলছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর অভিযোগটি দুদক এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বর্তমানে ওমর ফারুক তার নিজ এলাকা দিঘিনালায় থাকলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আবার, পানছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাসুদ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে নানান দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পদ-পদবীতে কিন্তু তিনি ড্রাইভার নন। দপ্তরি হিসেবে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে তিনি চালান ইউএনও গাড়ী। এমনটিই জানিয়েছে মাসুদের দুই স্ত্রী কুলছুম আরা বেগম ও মাহামুদা বেগম। জানা যায়, মাসুদের বিরুদ্ধে ইউএনও’র পক্ষ থেকে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবী করে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ভাঙ্গবে আমাদের সংসার। উৎসাহিত হবে এই অপরাধী মাসুদও।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাসুদ পানছড়ি উপজেলা পরিষদে দপ্তরির চাকরী হলেও সে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার অধিনস্থ সরকারী গাড়িতে বে-আইনিভাবে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানেও সে দপ্তরি হয়ে ড্রাইভারের কাজে বহাল তবিয়তে আছে।
অন্যদিকে, মহালছড়ি প্রশাসনের মদদে চলছে সরকারি জায়গা দখলের মহাৎসব। ইতিপূর্বে টার্মিনালে পশ্চিম দক্ষিণ পাশে মসজিদ সংলগ্ন মহালছড়ি বাজারের দক্ষিণ পাশে সরকারি পিস লেন্ডের জায়গা স্বপন ড্রাইভারসহ ৪জন অবৈধ ভাবে ক্রয় করে রাতারাতি মাটি ভরাট করে ৪টি টিনসেটের দোকান নির্মাণ করে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান এলাকার সচেতন নাগরিকরা। এসকল অবৈধ কাজে বাঁধা দিলেও তা স্থগিত না করে একের পর এক দূর্নীতি করেই চলেছে।
ইতিপূর্বে, জায়গা দখল সংক্রান্ত বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়দা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছি খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।