নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে চলছে পাহাড় কাটাসহ সরকারি ভাসমান ভূমি দখলের মহাৎসব, দেখার কেউ নেই। উপজেলা সদরের আশে পাশে সরকারি খাস জায়গা দখল করে দোকান পাট নির্মাণসহ সকল রকমের স্থাপনা (ঘর বাড়ি) তৈরি করে যে যার মতো দখলে মরিয়া হয়ে আছে।
জানাযায়, বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহালছড়িতে চাকরিতে যোগদানের পর এই অনিয়ম বেড়েই চলেছে। কারো মতামতকে তোয়াক্কা না করে সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে থলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন, টেকনিকেল স্কুল উত্তর পশ্চিম পাশে এবং মসজিদ সংলগ্ন শাহজাহানের বাড়িটি পাশে পাহার কাটার ফলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে আছে। যেকোনো মূর্হতে পাহাড় ধ্বসে বাড়িটি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। পাহাড় খেকোদের মদদ দিয়ে নির্বিচারে ছোট বড় মাঝাড়ি সব ধরনের পাহাড় কেটে সাবার করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম অহেতুক দোষ আরপ করেন এই নির্বাহী অফিসার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, মহালছড়ি বাজারের যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশের পাহাড় কেটে সাবার করে দিয়েছে পাহাড় খেকোরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এসকল অবৈধ কাজে পাহাড় খেকোদের মদদ দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিপূর্বে সরকারি কাপ্তাই লেকের পিসলেন্ডের জায়গা দখলে মুল নায়ক অবশর প্রাপ্ত ভিডিপির অফিসার এস এম মনির উদ্দিন, শপন ড্রাইভার, মো: খোকন, শিশু মন্ত স্কুলের জন্য জায়গা দখল করে। এসকল জায়গা বিক্রি করছে শাহজাহান পাটয়ারী। এ পর্যন্ত প্রায় ১ একর জায়গা বিক্রি করেন তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল আনুমানিক ১কোটি টাকা। মহালছড়ি টার্মিনালে পশ্চিম দক্ষিণ পাশে মসজিদ সংলগ্ন মহালছড়ি বাজারের দক্ষিণ পাশে ৪ ব্যক্তি সরকারি পিস লেন্ডের জায়গা অবৈধ ভাবে ক্রয় করে রাতারাতি মাটি ভরাট করে ৪টি টিনসেটের দোকান নির্মাণ করে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
জায়গা বিক্রির বিষয়ে শাহজাহান পাটয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্কুল এর জন্য ৫০ ডিসিম জায়গা নিয়ে মাটি ভরাট করতে গিয়ে আমার বাড়ির পাশের পাহাড় রাতের আধারে কেটে নিয়ে যায়। তাকিয়ে দেখেছি কিন্তু করার কিছুই ছিলনা।
আরো জানাযায, মনির উদ্দিন জায়গা শাহজাহার পাটয়ারী থেকে দখল ক্রয় করে বহুতালা বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। এই বিষয় পত্র পত্রিকায় অনেক লেখা লেখি হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যেখানে প্রশাসন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে রক্ষক হয়ে ভক্ষক এর কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রতিনিয়ত। সচেতন মহল ও এলাকাবাসী এর সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করেন।
সচেতন মহল মনে করেন, সরকারি সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারি কর্মকর্তার। কিন্তু দেখা যায় সরকারি জায়গা দখল, পাহাড় কাটাসহ যেসকল অনিয়ম হচ্ছে তা সরকারি কর্মকর্তার চোখে পড়লেও কারো অভিযোগ ছাড়া ব্যবস্থা নিবে না বলে বলেন স্থানীয় প্রশাসন।
পাহাড় কাটা, কাপ্তাই লেকের ভাসমান জমি দখল ও বিভিন্ন অনিয়মন সংক্রান্ত বিষয়ে মহালছড়ি আওয়ামীলীগের সভাপতি রতম কুমার বলেন, মহালছড়ি উপজেলায় কোনো অনিয়ম হলে এসব দেখার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উদ্ভোতন প্রশাসনিক সরকারি কর্মকর্তাদের। কিন্তু তিনি আমাদের কাছে কোনো পরমর্শ নেয় না ও সহযোগিতাও চায় না। নিজের খেয়াল খুশি মতো যা ইচ্ছে তিনি তাই করেন। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।
পাহাড় কাটা ও জায়গা দখল সংক্রান্ত বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়দা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছি খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।