নিজস্ব প্রতিবেদক:: যে এলাকায় রক্ষক যখন বক্ষাক। জনপ্রতিনিধি নামের আস্থার ব্যাক্তি হয়ে উঠেন দখলবাজ সেখানে স্বাভাবিকভাবে অনিরাপদ হয়ে উঠে ঐ এলাকা। যিনি কিনা নিজেকে আড়ালে রেখে নিজস্ব বাহিনী ব্যবহার করে একের পর এক বালুর অবৈধ ব্যবসা থেকে শুরু করে রন্ধে রন্ধে গড়ে তুলেছেন অনিয়মের স্বর্গরাজ্য।
এবার তার লোভ ও দখলের চেষ্টা থেকে বাদ যায়নি খাগড়াছড়ির এক প্রবীন সিনিয়র সাংবাদিককের পৈত্তিক সম্পক্তিও। এমনি অভিযোগ উঠেছে খোঁদ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ির উপজেলাধীন তিনট্যহরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে।
সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চেয়ারম্যান এর শপথ ভঙ্গ করেছে খোঁদ এই জনপ্রতিনিধি। যেখানে জনগণের সেবা দেওয়ার কথা সেখানে তিনি সাধারণ জনগনের জায়গা দখলের চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধরনের এলাকাবাসী ক্ষতিসাধন,হুমকি-ধমকি,ভয়-ভীতি প্রদর্শণ থেকে শুরু করে হয়রানিতে মেতে উঠেছে। তবে তিনি সবই করেন কৌশলে নিজেকে খোলসের আড়ালে রেখে।
তার বাহিনী ব্যবহার করে সাংবাদিক পরিবারের জায়গা দখলের চেষ্টার দীর্ঘ দিন অতিবাহীত হলেও এখনো ধরাছোয়ার বাহিরেই রয়ে গেছে ঘটনার সাথে জড়িতরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্ত ভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী। এসকল অবৈধ কাজে প্রতিবাদ করলে সেখানে নিজস্ব প্রভাব ও ক্ষমতা দেখিয়ে প্রতিবাদকারীদের তার লোকজন দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হামলা ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে থাকে কতিপয় জড়িতরা। এই জনপ্রতিনিধির খোলসের আড়ালে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীও। যার নিয়ন্ত্রণ তারই হাতে। এক কথায় বলা চলে সকল হামলা,মারধর,দখল থেকে শুরু করে সব অপকর্মের বিচার চাইতে গেলে এক কথায় তিনি কিছুই করতে নারাজ!
গত ২ জুন ২০২২ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনট্যহরী ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় মৃত সিদ্দিক আহম্মেদের ছেলে সাংবাদিক নুরুল আলম এর পরিবার এর ৫০৫নং হোল্ডিং প্রথম শ্রেনীর রেকর্ডীয় জায়গা এবং আব্দুল হকের ক্রয়কৃত ৫৭৫৪ দাগে রেজিষ্ট্রিকৃত ৮ শতক জায়গা ৪নং তিনট্যহরী ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে হামলা ও মারধর করেছে তিনট্যহরী ইউনিয়নের সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
কেন একজন সাংবাদিক পরিবারের উপর বর্বরচিত হামলা হয়েছে ভুক্তভুগি পরিবারের লোকজন প্রশাসনিক নিরপেক্ষ সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করেন। এই রকম অন্যের রেকর্ডি জায়গা দিনদুপুরে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় দখলের চেষ্টা করা নজিরবিহীন বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা।
অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টায় জমির মালিক বাঁধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলাকারী চক্রের সদস্যরা যৌথ ভাবে তাদের মারধর করে। এ সময় ৫ জন আহত হয়। ঘটনার মুল হোতা মোঃ শাহীন (পিচ্ছি শাহীন প্রকাশ আবুল)সহ আব্দুল আলী,মো: রুবেল হোসেন,মো: কামাল,ওমর ফারুক,ফাতেমা আক্তার,মায়াধনীসহ দুস্কৃতিকারী ২০ থেকে ২৫ জনের একটি গ্রুপ এ দখল ও হামলায় অংশ নেন।
তৎক্ষনাত ভুক্তভুগির পরিবার ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ প্রশাসন আনুমানিক ২ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌছায়। এক পর্যায়ে হামলাকারী দলের মূলহোতা শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাস্তা থেকে পুুলিশ আটক করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে আরো ৩ জন এবং মালামাল বহনকারী অটো রিক্সা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে পুলিশ শাহিন ও অন্যদেরকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার সত্যতা তারা স্বীকার করে বলেন, জায়গাটি ঘেরা-বেড়া দেওয়ার জন্য লোকজন নিয়ে আসি। এক পর্যায়ে আব্দুল হক ও তার বাবা বাঁধা দিলে আমাদের মধ্যে মারামারি সংগঠিত হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যের রেকর্ডিয় জায়গা অবৈধ দখল ও হামলার ঘটনা ঘটতে থাকলে আইনের শাসন বিঘ্নিত হবে। এ বিষয় তিনট্যাহরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জায়গা দখলের বিষয় অবগত ছিলাম না। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। শাহিন সহ কয়েকজন লোকজন নিয়ে জমি ঘিরা বেড়া ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে যাহা, দুঃখজনক। আমাকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে। এই নিয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের (আমলী) আদালতে মামলা করলে,আদালত ডিবি পুলিশকে তদন্ত করার নিদের্শ দেন।