শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

“প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে মোতায়েন করা হবে পুলিশ”

——স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে র‌্যাবসহ আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে আর্মড পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

তার আগে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় পুলিশের এপিবিএন সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে এপিবিএন পুলিশের ক্যাম্প সম্প্রসারনের কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের প্রতি ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জলদুস্য ও চরমপন্থী মুক্ত করেছি, সেই জায়গায় এখানেও আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করব,যেখানে যা প্রয়োজন হয় তা করা হবে, সরকার পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যেখানে যে বাহিনী প্রয়োজন হবে, সেখানে সেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে র‌্যাবসহ আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। আমাদের পুলিশ অনেক সক্ষম পুলিশ এখন যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে ২০২২) ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নস্ (পার্বত্য জেলাসমুহ) ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ২৫ মে বুধবার রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই মন্তব্য করেন। পার্বত্য জেলায় তিন জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আসবে, যার সদর দপ্তর হবে রাঙামাটি। এই তিন ব্যাটালিয়নের পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। আপাতত আমরা ৩০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমধাপে তিনটি ক্যাম্প বসানো হবে বলে সূত্র জানান।

এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ বাসন্তী চাকমা,মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেঃ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদসহ সামরিক বেসামরিক নেতৃবৃন্দ,প্রশাসকগণসহ শাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!