নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬ শত ১৬ টাকা নিয়ে পলাতক উক্ত কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মো: ফারুক মিয়া (৪৩)। পলাতক ফারুক মিয়া গত ১৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ হইতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। নিরাপত্তা প্রহরী সরকারি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বেড়েছে। ইতিপূর্বে (১৯ মে) বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসন কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর।
সম্প্রতি গত ১৬ই মে ২০২২ তারিখ সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের বিল ও মার্চ থেকে মে মাসের কম্পিউটার খাতের ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬শত ১৬ টাকার বিল নিয়ে পালাতক রয়েছে বলে মহলছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পালাতক ফারুক মিয়া মহলছড়ি উপজেলা কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী। দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযুক্ত ফারুক হোসেন মহলছড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে স্থানীয় ইকবাল হোসেন এর বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন, ২০১৭ সালে প্রতিবেশি আব্দুর রশিদের বড় মেয়ের স্বর্ণ, ও নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে ধরা পরলে পরবর্তীতে অন্য বাসায় গিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জুয়া খেলা ও মাদক সেবন সহ নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়দা আক্তার একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে কেন এতগুলো সরকারি টাকা উত্তোলনের জন্য দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জোরদাবি জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
অভিযুক্ত ফারুক মিয়ার শশুর আমিনুল হক জানান, গত ১৬ মে ২০২২ থেকে আমার মেয়ের জামাতা ফারুকের কোনো প্রকার সন্ধান পাইনি। তাকে উদ্ধারের বিষয়ে প্রশাসনেরও কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
এইদিকে, মহালছড়ি শাখা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার টনক চাকমা জানান, নিরাপত্তা প্রহরী ফারুক মিয়া ১৬ মে দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে ৪লক্ষ ১৩ হাজার ৬শত ১৬ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। যাহাতে তার স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর বিলের সাথে সংযুক্ত রয়েছে এবং সে টাকা উত্তোলনের যতেষ্ট প্রমানাধি আমার ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে।
টাকা নিয়ে উধাও হওয়া ফারুক মিয়ার বর্তমান ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির গেইট তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ঘটনার পর দিনই ফারুকের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৩৩) দিঘীনালা তার বাবার বাড়িতে চলে যান বলে তার পিতা আমিনুল হক স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়দা আক্তারের কার্যালয়ে দেখা করার উদ্দেশ্যে গেলে, তিনি উপজেলার বাহিরে আছেন বলে টেলিফোনে জানিয়ে দেন। অথচ ইতিপূর্বে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি ২২ মে সাক্ষাত করার জন্য অফিসে যেতে বলেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকেরা এক প্রকার হয়রানীর স্বীকার হয়।