আল-মামুন, খাগড়াছড়ি:: আকাশের বুকে একখন্ড জল জলে চাঁদ দেখতে কারনা ভালো লাগে। তবে কাছ থেকে চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করার মজাটাই আলাদা। তাই খাগড়াছড়িতে এই প্রথম ভিন্ন এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূর্ণিমার আকাশে রাতের চাঁদ দেখার আয়োজন করেছে খাগড়াছড়ি এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি।
“যারা চাঁদ দেখতে ভালোবাসে, তারা সুন্দর মনের অধিকারী” এই প্রতিপাদ্যে স্থানীয় দুই উদ্যোগতা নানা বয়সী মানুষের চাঁদ দেখার স্বপ্নের পুরনে উন্নত টেলিস্কোপের মাধ্যমে দু’দিন ব্যাপী পূর্ণিমার চাঁদ দেখা উৎসবের অনন্য উদ্যোগ নেন।
রবিবার (১৫ মে ২০২২) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরের টিটিসি সংলগ্ন খোলা মাঠে খাগড়াছড়ি এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগতা সবুজ চাকমা ও সাথোয়াই মারমার প্রচেষ্টায় চাঁদ দেখা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন,খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির এইয চাঁদ দেখা উৎসব তা অবশ্যই নতুন প্রজন্মের কাছে মাইল পলক হয়ে থাকবে। যারা বিজ্ঞানে আগ্রহী তাদের জন্য এটি শিক্ষনীয়। যাতে আমাদের বিজ্ঞানের চর্চা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদ মানুষের মনকে সুন্দর রাখে। চাঁদটা যদিও দেখতে সুন্দর কিন্তু আমাদের প্রাণী জগতের প্রত্যকের মনকে প্রভাবিত করে চাঁদ। চাঁদ যার ভালো, তার ভাব প্রকাশ অনেক শক্ত। মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্য চাঁদের উপর নির্ভর করে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খাগড়াছড়ি এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগতা সবুজ চাকমা জানান, আমরা আজকেই প্রথম পূর্নিমার চাঁদ দেখার মধ্যে দিয়ে এটির যাত্রা শুরু করেছি। নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান মনস্ক করা এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মূল উদ্দেশ্য। এটির মাধ্যমে মানুষের ভিতর চাঁদ নিয়ে যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে তা ব্যাখ্যা করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া। সৌরজগত বিশ্বভ্রমান্ড সব গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কাজ করবো এবং জনসাধারণকে দেখার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। সবাই মিলে মাঝে চাঁদ দেখার আনন্দ উপভোগ করবে এই প্রত্যাশা করেন আরেক উদ্যোগতা সাথোয়াই মারমা।
চাঁদ দেখতে আসা জুলি মারমা জানান, আমার খুব ইচ্ছে ছিল কাছ থেকে চাঁদ দেখবো। যা এতোদিন ছিল স্বপ্নের মতো। আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আমার খুব খুশি। এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির আয়োজকদের এ সময় ধন্যবাদ জানান তিনি।
মুলত এবারের পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে খুবই পবিত্র। এই পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ জম্ম, মৃত্যু ও সিদ্ধি লাভ করেন। তাই এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামেই সমাধীক পরিচিত। তাই আজকের এই দিনে চাঁদ দেখা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।