নিজস্ব প্রতিবেদক:: পানছড়ি হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তাগুলোর বেহাল দশা নিয়ে জনমনে আক্ষেপ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছে রাস্তাগুলোতো নিজেই রোগী। আগে রাস্তার চিকিৎসা করা দরকার। হাসপাতালের পৌঁছার আগে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত টমটম ঠেলতে ঠেলতে রোগীর সাথে আসা অভিভাবকরা প্রায়ই হয়ে পড়ে অসুস্থ। রোগী নিয়ে আসা টমটম উল্টে গুরুতর আহত হওয়ায় ঘটনাও নিত্য দিনের ব্যাপার। গর্ভবতী মুমূর্ষু মায়েদের থাকে না কষ্টের সীমা। এ নিয়ে কারো নেই কোন মাথা ব্যাথা।
পানছড়ি বাজারের জিরোমাইল টিএন্ডটির নিচ তলা দিয়ে বয়ে চলা সড়কটিতে বর্তমানে হাঁটুজল। পানছড়ি পশু হাসপাতালের সামনে দিয়ে বয়ে চলা রাস্তাটিও জায়গাই জায়গাই গর্তে ভরা। হাসপাতালের মূল প্রবেশ পথের রাস্তাটিরও বেহাল দশা। দু’এক বছর আগেও এলজিইডি সংস্কারের নামে করা হয়েছে হরিলুট। স্থানীয় তোহিদুল ইসলাম তপু, মাহাবুবুর রহমানসহ আরো অনেকে রাস্তাগুলোর দুরবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে আসার সময় এই ভাঙা রাস্তায় উল্টে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিল যা খুবই মর্মান্তিক। উপজেলার বিভিন্ন সভায় এই রাস্তাগুলো নিয়ে কয়েকবার উপস্থাপন করেও আজও কোন সুফল পাননি বলে জানান।
এই অর্থ বছরেও রাস্তাগুলো মেরামত হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাশ। তিনি বলেন, একটি রাস্তা মেইন্টেনেন্সের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে তবে স্থানীয় এমপির ডিও লেটার ছাড়া কাজ হবেনা।
পানছড়ির অভিজ্ঞ মহলের দাবি, যারা অসুস্থ মূলত তারাই হাসপাতালে আসে। কিন্তু রাস্তা তিনটির যে বেহাল দশা তাতে দেখা যাচ্ছে অসুস্থরা আরো বেশি অসুস্থ হচ্ছে। তাছাড়া শুকনো মৌসুমে মাটি-বালিতে কোন রকমে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে হাটুজল আর কাঁদা পার হয়ে কীভাবে হাসপাতালে আসবে। এই ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য প্রশাসনের সুনজর কামনা করছে সবাই।