নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার খালেদার মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা। গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামের ৫ নাম্বার নামক ন্থানে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। গত ১২ মে ২০২২ তারিখে সংবাদ প্রকাশের পর শুক্কর আলী নামক ব্যাক্তি থেকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছেন ভূক্তভোগী খালেদা আক্তারের পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভূক্তভোগী খালেদা আক্তারের ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলার দরিহাইলমারা গ্রামে এক কৃষকের সঙ্গে আগে একটি বিয়ে হলে সেই সংসারের একটি পুত্র সন্তানের মা হন তিনি । কিন্তু পারিবারিক দন্ধের কারণে গত ৪ (চার) বছর আগে তার সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হয়ে যায়।
পরবর্তীতে একই এলাকার প্রবাস ফেরৎ শুক্কর আলী বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে খালেদার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সেটিই খালেদার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে ধারণা করেন এলাকাবাসীরা। শুক্কর আলী খালেদাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করে । এক পর্যায়ে শুক্কর আলী খালেদার মা হেলেনা বেগমের কাছে খালেদাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে খালেদার পরিবার রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে রাজী করানোর কৌশল অবলম্বন করে শুক্কর আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাস ফেরৎ শুক্কর আলীর সঙ্গে খালেদার পরিবারের জায়গা জমি নিয়েও বিরোধ রয়েছে। এমনকি ২ একর ৫০ শতক টিলাভূমি (বর্তমানে খালেদার পরিবার যেখানে অবস্থান করছেন) শুক্কর আলী জোর পূর্বক প্রভাব বিস্তার করে দখল করে নিয়েছে। এ জায়গার বিষয় নিয়ে খালেদা এবং তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো বলেও জানান স্থানীয়রা।
খালেদার মা হেলেনা বেগম বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্কর আলী আমাদের বাড়ীতে এসে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শাষিয়ে যান এবং তারা অর্থশালী হওয়ায় আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। গত ১২ এপ্রিল ২০২২ তারিখ আমার মেয়ের মৃত্যুর পর কোনো আইনি ব্যবস্থা কিংবা মামলা মকদ্দমায় গেলে আমাদের ভিটা-বাড়ী থাকবেনা বলে হুমকি দেয় শুক্কর আলী। এরপর গত ০৮ মে ২০২২ তারিখে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি । আমি চাই প্রশাসন যেন সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে আমার মেয়ের মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।