নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারায় সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে প্রশাসন কে ম্যানেজ করে কতিপয় প্রভাবশালী চক্র উপজেলার ২নং হাফছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বড়থলি হাজিপাড়া এলাকায় মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালিয়েছেন। রাতভর এ মেলায় কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন। এসকল জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ অবৈধকর্মকান্ড দেখার কেহ ছিলোনা।
গত ৬ই মে শুক্রবার ও ৭ই মে শনিবার (দুই দিন ব্যাপী) গুইমারা উপজেলার ২নং হাফছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বড়থলি হাজিপাড়া এলাকায় প্রশাসনের যোগসাজসে ৩৫/৪০ জনের একটি পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে মেলার নামে জুয়ার আসর চালায়, রামপ্রু মারমা, থোয়াইয়ু মারমা (ওয়ালটন), আলোঅং মারমা, আব্দুল কাদের, মংশরি মারমা (গ্রাম পুলিশ) সহ আরো অনেকে।
যেকোনো মেলায় জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করা নিষিদ্ধ এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির নিদের্শ থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধের কোনো ভুমিকা ছিলো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানায়, প্রতিটি জুয়ার ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা হারে ২০টি জুয়ার ঘর থেকে ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মেলা কমিটি এবং প্রশাষন কে ম্যানেজ করে এই জুয়া চালিয়েছেন। এছাড়াও ২০টাকার কুপন এর মাধ্যমে আকর্ষনীয় কয়েকটি পুরষ্কার রেখে লটরীর নাম করে সাধারণ মানুষ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহম্মেদের কাছে মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অনুমতি দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলার ব্যপারে কোনো অনুমতি দেইনি ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আমরা কোন ধরনের মেলার অনুমতি দেইনি।
এদিকে প্রতিবাদি সচেতন মহল ও সাংবাদিকরা বার বার প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করার পরেও তা বন্ধ না করে নিরব ভুমিকা পালন করেন এবং খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ কে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ কে জানাচ্ছি, তিনিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
মেলা চলার সত্যতা মিললেও প্রশাসন কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে অবৈধ মেলা ও জুয়া পরিচালনাকারীদেরকে মদদ দিয়ে রাতভর জুয়া ও অশ্লিল নৃত্য চলার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে।