নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার স্টেশনে বিদ্যুৎ উৎপাদে ধ্বস দেশের দুটি ইউনিটে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৫৬ মেগাওয়াট। হ্রদে পানির সংকটের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছে।
অনাবৃষ্টি এবং প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এ সংকট দেখা দিয়েছে। পানি কমে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পানির ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া হ্রদের সাথে সংশ্লিষ্ট ৬টি উপজেলার সাথে নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫টি ইউনিটে দৈনিক ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। পূর্ণবাসনের জন্য একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। খরা মৌসুমে পানি সংকটের ফলে ২ ও ৪নং ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) কন্ট্রোল রুম হতে জানা যায়, এ মৌসুমে হ্রদে পানি থাকার কথা ৮২.৮০ ফিট এমএসএল )মীন সি লেভেল)। কিন্তু বর্তমানে তা কমে পানি আছে ৭৬.৯৪ ফিট এমএসএল।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে কেন্দ্রের সব কটি ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেঠে।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ৩নম্বর ও ৫নং ইউনিট চালু রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩নং ইউনিট হতে ২৯ মেগাওয়াট এবং ৫নং ইউনিট হতে ৩০ মেগাওয়াটসহ সর্বমোট ৫৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর বৃষ্টিপাত না হলে এ সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে জানান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।