নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়িতে বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাষ্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
তিনি বলেন, ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসু। বৈসু উৎসব এদের জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব। বৈসু উৎসব একটানা তিন দিন পালন করা হয়। এই তিন দিনের অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে হারি বৈসু, বিসুমা বৈসু ও বিসিকাতাল। বৈসু উৎসবের প্রথম দিন হারি বৈসু। এই দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তারা ঘরদোর লেপেপোঁছে, বসতবাড়ি কাপরচোপড় পরিস্কারপরিচ্ছন্ন করে। ত্রিপুরারা যুবক-যুবতীরা বিশেষ করে বৃদ্ধ মা-বাবা ও বড়দের গোসল করিয়ে নতুন বছরের আর্শিবাদ নিয়ে থাকে। ফুল দিয়ে ঘরবাড়ি সাজায়। কেউ কেউ পুষ্পপূজা করে। এদিন মহিলারা বিন্নি চাউলের পিঠা তৈরি করে থাকে। এদিন এরা দাং, গুদু,চুর, সুকুই, উদেং ও ওয়াকারাই খেলায় অংশগ্রহণ করে। হারি উৎসবের দিন থেকে এর গরয়া নৃত্য পরিবেশন শুরু করে। কিন্তু এখন ফুল ভাসানো (নদীতে ফুল নিবেদন করা) এবং গরয়া নৃত্য যুগের পরিবর্তনের ফলে উদ্বোধন করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩০ ব্রিগেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার কর্ণেল সরদার ইসতিয়াক আহমেদ, জেলা প্রশাসক প্রতাব চন্দ্র বিশ্বাস প্রমূখ। সঞ্চালনায় ছিলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা।