নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নিয়ম-নীতি অমান্য গুইমারায় অবৈধ ভাবে ফসলী জমি কাটার মহাৎসব চলছে। গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমি কাটার অভিযোগ উঠেছে। গুইমারার হাফছড়ি, জালিয়াপাড়া, সিন্দুকছড়ি। আবার রামগড়ের বিভিন্্ন স্থানে স্কেভেটর দিয়ে ফসলী জমি কেটে মাটি বিক্রয়ে মহাৎসব চলছে। এসকল মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, তারা ব্রিগফিল্ড, এস বি এম, ৪ স্টার, মদিনা ব্রিগফিল্ডসহ আরো কয়েকটি ব্রিগফিল্ডে।
সিন্দুকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি কেটে মাটি ট্্রাকে করে ব্রিকফিল্ডের কাজে ব্যবহার করছে এবং কোনো কোনো স্থানে নিচা জায়গা ভরাট করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে সরকার হাড়াচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। এছাড়াও আসছে বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ের পাশে বসবাসরত মানুষের জীবনের ঝুকিঁ ও বাড়ছে।
ফসলী জমি কাটার বিষয় সিন্দুকছড়ি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উচু নিচু জায়গায় গুলোকে মাটি ভরাট করে জমিগুলোকে চাষাবাদীর উপযোগি করা হচ্ছে। এছাড়াও কিছু মাটি ব্রিগফিল্ডের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এস বি এম ব্রিগফিল্ডের মালিক শহীদ কোম্পানি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে বলেন, ব্রিগফিল্ডের ইট তৈরির ফলে এলাকার উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। ব্রিগফিল্ড বন্ধ হয়ে গেলে আপনার আমার ঘর ও দালান নির্মাণ ব্যহত হবে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, সরকার এমনভাবে ইটের ভাটার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে করে ইটভাটার মালিকদের ব্যপক ভাবে ক্ষতি সাধিত হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুইমারা উপজেলা চিংগুলীপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে মাটি কেটে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্রিগফিল্ডে সহ বিভিন্ন স্থানে।
সচেতনমহল জানান, এসকল অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তার সাথে সাথে সরকার হাড়াচ্ছে রাজস্ব। এসকল অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ না হলে অচিরেই ধ্বসে পরবে পার্বত্য অঞ্চলের সুন্দর্য্যরে পাহাড় বিপর্যয়ের মুখে পরবে সাধারণ মানুষ। তাই এসকল অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধের দাবি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।