নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে ম্যালেরিয়া রোধে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে পর্যটক এলাকায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ ও পর্যটক। দিন রাত ২৪ ঘন্টা প্রায় সব সময়ই জ্বালিয়ে রাখতে হয় মশার কয়েল।
মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখলেও মশার উপস্থিতি বুঝা যায় ঘরে। মশা নিধনের জন্য বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্নেল মুনতাসির রহমান চৌধুরী, পিএসসি, (৬ইস্ট বেঙ্গল), এর নির্দেশে গতকাল শনিবার বিকেলে সাজেক পর্যটক এলাকায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফগার মেশিন দিয়ে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়েছ।
এলাকার স্থানীয় জনগন ও পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায় পর্যটক এলাকার মতো গুরুত্বপ‚র্ণ স্থানে সেনাবাহিনী কর্তৃক মশা নিধনের এই ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখলে এলাকার জনগণ এবং পর্যটক মশা জনিত সকল প্রকার রোগ থেকে বেঁচে যাবে এবং স্থানীয় লোকজন মশা থেকে স্বস্তি পাবে ফলে সেনাবাহিনীর এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকল স্তরের মানুষ।
বাঘাইহাট জোনের কমান্ডার বলেন, গত দুই বছর কোভিড-১৯ এর কারনে সাজেকে তেমন পর্যটক আসতে পারে নাই। চলতি বছরে অনেক পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। কোন পর্যটক যেন সাজেক ঘুরতে এসে মশার কামরে ম্যালেরিয়া এবং মশাবাহিত কোন রোগে আক্রান্ত না হয় সে জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিয়মিত মশা নিধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করব। তার পাশা পাশি সকল রিসোর্ট মালিক এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
জোন কমান্ডার আরও বলেন, সেনাবাহিনী সব সময় দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব সময় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ ম‚লক কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।