নুরুল আলমঃ সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতেও তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে সয়াবিন তেল মজুদ করছে কিছু কিছু অসাদু ব্যবসায়ী। গোডাউনে সয়াবিন তেল মজুদ রেখে বাইরে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে রাখছে তেল নেই। তবে শেষ রক্ষা হয়নি এমনি এক মুনাফা লোভি ব্যবসায়ী। শুধু তেল নয়, দাম বেড়েছে চাল ও ডালসহ সবগুলো নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্য মূল্যের।
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাফর স্টোর। ফ্রেশ কোম্পানি ডিলার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রীতিমত বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আপাতত সয়াবিন তেল নেই’। তবে কর্মকর্তাদের অভিযানে বেরিয়ে আসে গোডাউনে মজুদ রাখা হয়েছে সয়াবিন তেল।
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপিয়া সুলতানা লিজা সয়াবিন তেল নিয়ে খাগড়াছড়ি শহরে অভিযান শুরু করেন। এ সময় তিনি গুদামে মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক দামে তেল বিক্রির সত্যতা পান।
এমন অভিযোগে মেসার্স জাফর স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া মেসার্স পলাশ স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, ননিচাম স্টোরকে ৮ হাজার টাকা এবং মামুন স্টোরকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপিয়া সুলতানা লিজা জানান, গুদামে তেল মজুদ রেখে বাইরে তেল নেই বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দিয়েছে। আবার অনেকে অধিক দামে তেল বিক্রি করছে। তাদের সবাইকে আর্থিক জরিমানা করেছি। ভবিষ্যতে তাঁরা এমন কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এদিকে ক্রেতা সাধারণ বলছেন, বাজারে পাঁচ লিটার বোতলের তেলের আকাল চলছে। এক ও দুই লিটার বোতলের তেল পাওয়া গেলেও তা চাহিদার তুলনায় ভীষণ অপ্রতুল। আর অন্যদিকে ডিলাররা বলছে-প্রায় দেড় মাস ধরে কোম্পানি থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। কোম্পানি থেকে বলা হচ্ছে, সরকার সয়াবিন বিক্রির যে দর নির্ধারণ করেছে বিদেশ থেকে তার চেয়ে বেশি দামে তেল আমদানি করতে হচ্ছে তাদের। তার জন্য কোম্পানি তেল দিচ্ছে না আমাদের।’