নুরুল আলম:: লক্ষ্মীছড়িতে প্রধান মন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে সন্তুষ্টি হলেও পানির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই নির্দেশনা বান্তবায়ন করতে সারা দেশে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় প্রথম পর্যায় ৩২টি, ২য় পর্যায় ৭০০টি এবং ৩য় পর্যায় আরো ১০০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য উপহারের ঘর নির্মাণ কাজ সুষ্ঠু তদারকির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ৭৩২টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে চাবি হস্তান্তর কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে ৩য় পর্যায় আরো ১০০টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে যাচাই-বাছাই শেষে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইয়াছিন সরেজমিনে গিয়ে জায়গা নির্ধারণ, প্রকৃতভূমিহীন ও অসহায় পরিবারকে অগ্রাধীকার দিয়ে সুষ্ঠু তদারকির মধ্য দিয়ে গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এবারের ঘর নির্মাণ কাজের প্রকল্পের ব্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে ২লাখ ৪০হাজার টাকা। বাড়তি কাজ হিসেবে ডিজাইনে আরসিসি পিলার ও লিন্টার ধরা হয়েছে এবারের ঘর নির্মাণে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী বলেন, অনুন্নত পিছিয়ে পরা এলাকায় গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী উপহার ঘর একজন সাধারণ মানুষের জন্য বড় পাওয়া। বর্তমানে আরো ১০০টি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান।
৩য় পর্যায় ঘর পাওয়া লোকজন জানান, আমরা ঘর পেয়ে অত্যন্ত খুশি। আমাদের ঘরের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা একটি পাকা বাড়ি পাচ্ছি, এখানে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো যা ছিল আমাদের জন্য শুধুই স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঘর উপহার দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
৭ই মার্চ সোমবার বিভিন্ন জাতিয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি সরেজমিনে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুল্যাতলী ইউনিয়নের মগাইছড়ি, মারমাপাড়া, নতুনপাড়া গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্প সকল ঘর ই ঠিক ঠাক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর পাওয়া সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কাছে ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলি তিনি বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশি কিন্তু পানির সমস্যায় ভোগছি। এখানে একটি টিউবয়েল বসানো হলো আশ্রয়ন প্রকল্পের লোকজন পানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
বর্মাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এই এলাকায় ২য় পর্যায়ের ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ৩য় পর্যায় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যারা গরীব ও অতিদরিদ্র তারাই ঘর পেয়েছে। এই পাহাড়ে গরীব মানুষের জন্য যে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।