নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলধীন গুইমারা সরকারি কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময় প্রভাষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে, শিক্ষাই জাতীর মেরুদণ্ড, কথা টি সত্য হলেও বর্তমানে কিছু কিছু শিক্ষক এই পেশা কে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করেই অপকর্মের সাথে লিপ্ত হচ্ছেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অর্জুন কুমার নার্থ। এই নিয়ে ৫মার্চ শনিবার গুইমারা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মানববন্ধন করেছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী একজন গুইমারা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আর একজন ব্যাবসা শিক্ষা ২য় বর্ষের ছাত্রী। জানা যায়, ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি ক্লাস শেষে ওই ছাত্রীরা একসাথে গ্রুপ স্টাডি করছিলো। ওই সময় প্রভাষক অর্জুন কুমার নাথ ৭মার্চ রচনা প্রতিযোগীতার প্রস্তুতি নিয়ে হলে ঘোষণা শেষে ফেরার সময় ওই দুই ছাত্রীকে নানাভাবে শ্লীলতাহানি করেন।
ওই ছাত্রীরা তাৎক্ষণিক কোন প্রতিবাদ না করে বাড়ি চলে যান। বাড়িতে গিয়ে তারা পরিবারকে সব ঘটনা জানালে শুক্রবার মুঠোফোনে ও আজ শনিবার পরিবারের সদস্যরা কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন।
পরে সকাল ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত গুইমারা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ গোপনীতার মাধ্যমে শিক্ষক মিলানায়তনে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীদেরকে নিয়ে মুখোমুখি করে অভিযোগ সম্পর্কে শোনেন।
ওই সময় কলেজের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের জেরার মুখে অভিযুক্ত প্রভাষক অর্জুন দেবনার্থ ওই ছাত্রীর শরীরে হাত দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এই ঘটনায় গুইমারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীন বলেন, গুইমারা সরকারি কলেজে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। তবে প্রভাষক অর্জুন কুমার নাথ সকল দোষ শিকার করেছে এবং এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সকল শিক্ষার্থীদের সামনে। এর পর শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে প্রভাষক অর্জুন কুমার নাথ কে সাময়িক ভাবে ১ মাসের জন্য কলেজের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেন। আগামী দশ দিনের মধ্যেই জীববিজ্ঞানের নতুন প্রভাষক নিয়োগ দিবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন।
অভিযোগকারী মেয়ের অভিভাবক বলেন, আমাদের মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাই। একজন শিক্ষক এতবড় নেক্কারজনক কাজ করতে পারেন এটা অবিশ্বাস্য। আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শংকিত।
অভিযুক্ত শিক্ষক অর্জুন কুমার নাথের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, ছাত্রছাত্রী ও সিনিয়র শিক্ষকদের জেরার মুখে বলে আমি ওদের মজা করে থাপ্পর দিয়েছি। আমার কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।