শিরোনাম
বুধ. ডিসে ২৫, ২০২৪

মহালছড়িতে একই পরিবারের ৫ প্রতিবন্ধীর মানবেতন জীবন


নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক পরিবারের ৬জনের মধ্যে ৫জন শারিরীক প্রতিবন্ধী। এ প্রতিবন্ধী পরিবারটি মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দূর্গম এলাকার চৌংড়াছড়ি রোয়াজপাড়া গ্রামের। পরিবারটি খুবই অসহায় অবস্থায় অভাব অনটনের মধ্যে জীবন যাপন করে যাচ্ছে।
এ পরিবারের প্রধান কর্তার স্ত্রী আরেমা মারমা অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ৪ সন্তানের মা দিন মজুরের টাকায় সংসার চলে। যদিও প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে থাকলেও তা দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা হলেন, পরিবারের প্রধান কর্তা নিপ্রুচাই মারমা (৪১), উচিমং মারমা (১৮), থুইচানু মারমা (১৫), থুইসাচিং মারমা (১২), সুইসাচিং মারমা (০৯)।
চৌংড়াছড়ি রোয়াজাপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারের প্রধান কর্তা নিপ্রুচাই মারমার সাথে কথা বললে তিনি জানান, একমাত্র স্ত্রী ব্যতীত তিনিসহ তাঁর ৪পুত্র সন্তান সবাই প্রতিবন্ধী। সন্তানেরা জন্মের পর সুস্থ থাকলেও ৮-৯ বছর পার হলেই আস্তে আস্তে হাত-পা চিকন হয়ে যাওয়া শুরু করে এবং তাঁর নিজেরও কয়েকবছর আগে থেকেই এ অবস্থা শুরু হয়েছে। একমাত্র স্ত্রী দিন মজুরের দৈনিক ২শ থেকে আড়াই শত টাকায় পরিবার চালানো কঠিন তার মধ্যে নিজের চিকিৎসা ও সন্তানদের চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। দিন মুজুরি করে যা পায় তা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। ২ থেকে ৩ মাস পর পর প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তা দিয়ে সংসারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না।

এ প্রতিবন্ধী পরিবারের নিপ্রুচাই মারমার স্ত্রী আরেমা মারমা বলেন, স্বামী ও সন্তানদের ভরণ-পোষণ করতে নিয়মিত দিন মজুরি করতে হয়। তাও ঠিকমতো কাজ পাওয়া যায় না। যার কারণে অর্ধাহারে অনাহারে থেকে খুবই কষ্টে দিন পার করছি। একদিকে বাড়িটাও ভেঙ্গে গেছে। বর্ষার সময় চাল দিয়ে পানি পড়লে শোবার জায়গাটুকুও থাকেনা। একমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কোন সহযোগিতাও এ যাবৎ পাইনি। কিভাবে যে সংসার চালাবো কোন কুল-কিনারা পাচ্ছিনা।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. নুনু মারমা বলেন, এ রোগ সাধারণত বেশীরভাগে অপুষ্টির কারণে হয়ে থাকে। এ ধরণের রোগকে চিকিৎসার বিজ্ঞানে স্নায়ুজনিত রোগ বলা হয়ে থাকে। এ রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!