শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে বালিশ চাপায় নারীকে হত্যা

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: প্রথমে ধর্ষণ, পরে তা ধামাচাঁপা দিতে হত্যার ঘটনায় “ক্লুলেস মামলার” রহস্য উম্মচন করেছে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। ভিকটিম জরিনা বেগম (৪৫) এর হত্যাকাণ্ডের পর গত ২২ ডিসেম্বর ২০২১ তার মেয়ে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশের নানা আধুনিক তদন্ত কৌশল অবলম্বন করে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের সুপার এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন দিক নির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ফোর্সের সহায়তায় মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার সাথে জড়িত আসামী মো: আবুল কালাম (ওরফে রদ্দা কালাম)’কে আটকে সক্ষম হয়। সে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার আদর্শগ্রাম রমিজ কেরানীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল ছাদেক এর ছেলে।

বিষয়টি প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে শনিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সাংবাদিকদের এক তথ্য জানান। এ সময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, অতিরিক্ত পুলিশ জিনিয়া চাকমা,মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলীসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, জরিনা বেগম দরিদ্র হওয়ায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবন চালত। গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মত ফেরার পর নিয়মিত কাজ করা সে বাড়িতে আর যাননি। নিজের মাটির গুদাম ঘরে বসবাসকারী জরিনার খোঁজ নিতে চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর বিকেলে গিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে অর্ধগলিত মৃত লাশ দেখতে পায়।

পরে কৌশল অবলম্বন করে হত্যাকারীকে শনাক্ত করে ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে আটক করে। বাড়ি বাড়ি ও হোটেলে ঝি এর কাজের সুবাদে কাজ করায় হত্যায় জড়িত আসামী মো: আবুল কালাম (ওরফে রদ্দা কালাম) সাথে জরিনার বেগম এর পরিচয় ও মোবাইলে কথার সূত্র ধরে গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভিকটিমের বাড়ীতে এসে কু-প্রস্তব দেয়। রাজি না হওয়ায় জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং এক পর্যায়ে রাতে তাকে বালিশ চাঁপা দিয়ে হত্যা করে। পরে হত্যার প্রায় ৭ দিনের মাথায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে “ক্লুলেস মামলার” রহস্য উম্মচন করেছে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।

আটকের পর পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আদালতে প্রেরণ করলে মো: আবুল কালাম (ওরফে রদ্দা কালাম) ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ ১৬৪ ধারায় বিচারীক আদালতে সীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!