শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ২৬, ২০২৪

গুইমারায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

নুরুল আলম:: মহান বিজয় দিবস বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর)। এ বছর দিনটিতে বাঙালি জাতি বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ করছে। এবছর ৫০তম বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কারছে জাতি। বিজয় দিবস বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের একটি দিন।

দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় ও বর্ণাঢ্য ভাবে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পঁঞ্চাশবার তোপধ্বনি ও গুইমারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনকরা হয়।

সকাল সাড়ে আটটায় গুইমারা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুলভিত্তিক প্রমিলা ফুটবল টুনার্মেন্টের ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। পরে গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, প্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সম্মাননা ক্রেস প্রধানের মাধ্যমে সংবর্ধনা করেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহম্মেদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ মো: মিজানুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী এবং নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী, গুইমারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা ইখতেয়ার চৌধুরী পলাশ, যুবলীগের সভাপতি বিপ্ল শীল, গুইমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল আলম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা আক্তারসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষীকা ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।

সকাল থেকে কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারিদের এবং বিজয় দিবস অনুষ্ঠান সফলভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভার্চুয়ালি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, সকল পেশাজীবি, সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যগন, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী, নারী, কৃষক, ছাত্রসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের শপথবাক্য পাঠ করেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!