আল- মামুন, খাগড়াছড়ি:: প্রতিদ্বন্দ্বীতার লড়াইয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গার ৭ ও গুইমারার তিন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে এক বিদ্রোহী,১ স্বতন্ত্র ও ৮জন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী নৌকার মাঝির হয়েছে। শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা ছাঁপিয়ে তারাই পরলেন বিজয়ের মালা।
বৃহস্পতিবার সারা দেশের অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির এই দুই উপজেলায় ১০ ইউপি নির্বাচন ছিল অনেকটা উৎসব মুখোর। ছিল উৎসবের নির্বাচনে কিছুটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাও।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সাত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারীভাবে আওয়ামীলীগ মনোনীত ৫ প্রার্থী, ১ বিদ্রোহী ও ১ স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় লাভ করেছে। এছাড়াও গুইমারা,হাফছড়ি ও সিন্দুকছড়ি তিন ইউপিসহ মোট ১০ ইউপির মধ্যে আটটিতে নৌকা এবং বাকী দুটিতে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী জয় ছিনিয়ে নেয়।
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার ৩ ইউপির মধ্যে-গুইমারা সদর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্মল নারায়ণ ত্রিপুরা ৫২০৬, মংশে চৌধুরী ৪৮৭৭,রেদাক মারমা ২৪৫৩ জয় লাভ করেছে। মাটিরাঙ্গায় উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো: পেয়ার আহাম্মদ মজুমদার ৫৪৬৫ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আমতলী ইউপিতে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: আবদুল গনি নৌকা প্রতীকে ৩১১১ ভোট, গোমতিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: তফাজ্জল হোসেন ৫০৮১ ভোট,বেলছড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মো: তোফাজ্জল হোসেন ৫৯১০ ভোট,মাটিরাঙা ইউপিতে হেমেন্দ্র ত্রিপুরা ৪০১২ ভোটে নির্বাচিত হয়।
তবলছড়ি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আবুল কাশেম ভুইয়া ৫০৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বড়নাল ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: ইলিয়াছ ২৩০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষে রিটার্নিং অফিসারা বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর ২১) দিনভর কেন্দ্র গুলোতে একটানা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ও তবলছড়ি ইউনিয়নের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন সংঘাতের ঘটনা ঘটে। তবলছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট’র দুরদর্শীতায় হস্থক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। এর পর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ভুইয়ার সমর্থকরা মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলী হোসেনকে দুই দফা মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের নীরপেক্ষতা ও তৎপরতা বড় ধরনের সহিংসতা থেকে হয়নি বলে অভিমত জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে-খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটে বিচ্ছিন্ন কিছু অপতৎরতা কোন ধরনের সহিংসতার রূপ নিতে পারেনী। গুইমারা ৩টি ও মাটিরাঙ্গা ৭টি সহ ১০ ইউপিতে ভোট গ্রহণে প্রশাসন তৎপর ছিল। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে এবং কান ধরনের সহিসতা চেষ্টাকারীকে ছাড় নয় বলে জানিয়ে দেন পুলিশ সুপার।