নিজস্ব প্রতিবেদক:: পাবর্ত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীরা হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, লাশ গুম করেও প্রকাশ্যে ঘূরে বেড়ালেও প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে। যেমন নও মুসলিম শহীদ ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকারী শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসী অপু চাকমা সহ জন দুপুরে ট্রলারে মারণাস্ত্র নিয়ে টহল দিলেও পুলিশ তাদের আটক করছে না।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাস্থল রোয়াংছড়ি থানা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ও পাহাড়ের দুর্গম এলাকার তুলাঝিরি পাড়ায় অবস্থিত। গত ১৮ জুন (শুক্রবার) রাতে ওমর ফারুক মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় ৪/৫ জন অস্ত্রধারী পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাকে বাড়ি থেকে বের হতে বলে। তাদের ডাকে বের না হলে তারা ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক টেনে বের করে। পরে ঘরের পাশেই গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ওমর ফারুক সহজ-সরল ও সৎ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আগে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করতেন। পরে তিনি পরিবারসহ ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর থেকে তিনি মসজিদে ইমামতি করতেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে দিলেও বাকিরা লেখাপড়া করে।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বাঙালি ও উপজাতীয় মুসলিম সংগঠনগুলো।
এ বিষয়ে সচেতনমহল বলেন, ওমর ফারুককে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। মুসলিম হওয়াটাই ছিলো তার (ফারুক) মূল অপরাধ। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।