আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে উদ্ধারকৃত নবজাতক আদালতের রায়ে অবশেষে দত্তক নিলেন স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেশা খীসা দম্পত্তি। নবজাতককে লালন-পালনের জন্য ৬ প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিত সকল বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত স্মৃতি বিকাশ চাকমার দম্পত্তির হাতে লালন পালনের জন্য রায় দেন।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর ২১) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মুহাং আবু তাহের এর আদালত ৬ প্রার্থীর সকলের বক্তব্য ও শুনানী শেষে তিনি এই রায় দেন।
নবজাতক কোন সম্প্রদায়ের তা আদালতকে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা। এদিকে, উদ্ধারকৃত নবজাতককে খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে দত্তক দিলে খোঁজখবরসহ দায়িত্ব পালনে বিষয় জানান খাগড়াছড়ি প্রফেশনাল অফিসার প্রীতি বিজয় চাকমা।
এর আগে আদালত সকল প্রার্থীর সম্পত্তি,সামাজিক অবস্থান,শিক্ষাসহ সকল বিষয়ে অবগত হওয়ার পর ডাক্তার,প্রফেশনাল অফিসারসহ সকলের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষনা করেন।
দত্তক নেওয়ার পরিবারের পক্ষের আইনজীবি আফসার হোসেন রনি জানান, সকল বিষয় বিশ্লেষন করে আদালত এই রায় ঘোষনায় খুশি পরিবারটি। খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবি এড. আশুতোষ চাকমা পরিবারটির পক্ষের শুনানী করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক নবজাতকটি স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেশা খীসাকে লালন-পালন ও ভরন পোষনের রায় দেন।
উল্লেখ যে, গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুটিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেটে উদ্ধার করে। সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে পালিয়েছেন যায় তার মা ফেলে। পরে নবজাতকটি বর্তমানে খাগড়াছড়ি মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সমাজ সেবা অফিসার মনিরুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি হাসপাতালের সমাজ সেবা অফিসার নাজমুল হাসান,খাগড়াছড়ি সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আ: রহমান,খাগড়াছড়ি প্রফেশনাল অফিসার প্রীতি বিজয় চাকমা,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত বিধি অনুসরণ করে সর্বশেষ রায়ের কপি পাওয়ার পর নবজাতকে দত্তক নেওয়া অভিভাবকদের কাছে হস্থান্তর করা হয়।