নুরুল আলম: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেলেন ৪৯ টি ভূমিহীন পরিবার।
খাগড়াছড়ি জেলাপ্রশাসনের সার্বিক তদারকিতে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের দূর্গম এলাকায় হতদরিদ্র দুস্থ প্রতিবন্ধী বিধবা নারীসহ অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপকারভোগী হাফছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম বটতলী পাড়ার মিশুপ্রæ মারমা বলেন, আমার স্বামী নেই আমি পরের জায়গায় দিনমজুরী করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয় আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই তাই একটি সরকারি ঘর পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।
প্রতিবন্ধী পচেকে মারমা জানান, সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারিনি মানুষের দূয়ারে দূয়ারে ভিক্ষা করে খাই গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ, উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল ও হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরীর সহযোগীতায় একটি ঘর উপহার পেয়েছি। স্বপ্নের সেই বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভূলেননি প্রতিবন্ধী পচেকে মারমা।
হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী বলেন, সামনে আমার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু লোক আমার পিছনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হাফছড়ি ইউনিয়নে ৪৯ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় তার মধ্যে ২৭টি ঘরের চাবি গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বাকি ২২ টি ঘরের কাজ চলমান খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে ঘর গুলো গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
গুইমারা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি সচ্চভাবে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন। তদারকি কর্মকর্তারা যাচাই -বাচাই করে হাফছড়ি ইউনিয়নে ৪৯ টি ঘরের মধ্যে ২৭টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে বাকি ২২ঘরের কাজ চলমান দ্রæত সময়ের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে মানুষ বসবাস শুরু করেছে। যারা গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরো ঘর বরাদ্দ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান, তাই আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান, গুইমারা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল।