নুরুল আলম:: প্রবাসীর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে জড়িত সন্দেহে ৮জনের বিরুদ্ধে গুইমারা থানায় মামলা করেছে পিতা আবু তাহের। গুইমারা উপজেলাধীন জালিয়াপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে প্রবাসী হায়দার আলীর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৬) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবী করে এ মামলা করেন।
পরিবারের দাবি, জান্নাতুল ফেরদৌসকে তার শ্বাশুড়-শ্বাশুড়ী, দেবর ও ননদের একাধিকবার শারিরীক নির্যাতন করেছে। এই নিয়ে মাটিরাঙা সাবেক পৌর মেয়র আবু ইউছুপ চৌধুরী দুই পক্ষকে ডেকে শালিশী বৈঠকে শারিরীক নির্যাতনের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ার পরও ২ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি সামাধান করে পুনরায় শ্বশুড় বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপরও একাধিকবার তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা থামেনি। সবর্শেষ মেয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি সু-পরিকল্পিত ভাবে আবু বক্কর,হাজেরা বেগম, হোসেন আলী,হায়দার আলী,রেজীয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, আর্জিনা বেগম,আয়েশা আক্তার মিলে জান্নাতুল ফেরদৌসকে হত্যা করেছে বলে তার পিতার দাবী। হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে জানান।
আবু বক্করের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস কিভাবে মারা গেছে সে বিষয় এই মুহুর্তে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। যেহেতু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাই যা বলার আদালতে বলবো।
অপরদিকে, আবু বক্করের ছেলে হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর পিতা আবু তাহের বাদী হয়ে যে হত্যা মামলায় অভিযোগ এনেছে এতে আমরা নির্দোষ। আমাদেরকে অহেতুক মামলা জড়ানো হয়েছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস এর মৃত্যুর বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, মৃত্যু বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত হয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে গুইমারা থানায় মেয়ের বাবার বাদী হয়ে আবু বক্কর ও ৮ জনকে আসামী করে মামলা করে।