নুরুল আলম : মানিকছড়ি উপজেলার সাপমারাস্থ নোনাবিলে নিজ জমিতে চাষাবাদ করতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তিন ব্যক্তি মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল হালিম (৫০) বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাপমারার নোনাবিল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবদুল হালিম তার দুই ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও রিফাত ইসলামকে নিয়ে ১৪ জুলাই সকালে জমিতে হালচাষ করছিল। এ সময় তারা জমির পাড় পরিস্কার করতে গেলে পার্শ্ববর্তী টিলায় বসবাস করা পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা ও তার ছেলে বিমল কুমার ত্রিপুরা দলবল নিয়ে তেড়ে এসে উপুর্যপুরী হামলা করে। এতে আবদুল হালিম (৫০) ও তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৫), রিফাত ইসলাম (২২) গুরুত্বর আহত হয়।
প্রতিবেশিরা আহতদের উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন আহত তিন জনের মধ্যে দুইজনের মাথায় বেশি জখম হওয়ায় আবদুল হালিম ও ছেলে রাকিবুল ইসলামকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল হালিম মারা যায়।
নিহতের ছোট ভাই মো. মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে এই নির্দয়- নির্মম ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন।থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহনূর আলম জমির পাড় নিয়ে পুরানো বিরোধে সংঘটিত ঘটনায় চিকিৎসাধীন আবদুল হালিম মারা গেছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগে মামলা হবে। এটা জমির পাড় নিয়ে বিরোধের জের। এটার বিচার আইনগতভাবে হবে।