নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দূর্গম মাইরংপাড়ায় হতদরিদ্র মিলন ত্রিপুরা। নেই তার বসবাস যোগ্য মাথা গোঁজার ঠাঁই। কোন রকম করে স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবারে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে ঝুপড়ী ঘরে জীবন কাটছে তাদের।
সম্প্রতি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বিষয়টি নজরে আসে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ এর। বিলম্ব না করে দূর্গম পথ পারি দিয়ে সোজা সরেজমিনে গিয়ে উঠলেন মিলন ত্রিপুরা সে ঝুপড়ী ঘরে।
সব খোঁজখবর নিয়ে আশ্বাস দিলেন দিন বদলের। অল্প সময়ের মধ্যে সে ঝুপড়ী ঘরটি রুপান্তরিত হবে পাকা বাড়ীতে। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ তাৎক্ষনিক ব্যবস্থায় হাঁসি ফুটলো মিলন ত্রিপুরার পরিবারের।
গুইমারা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন হলেও মাইরংপাড়াটি গুইমারা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূর্গম এলাকায়। যেখানে বাহন হিসেবে মটরসাইকেলেই একমাত্র ভরসা। গুইমারা উপজেলার আওতাভুক্ত হলেও মাইরংপাড়ায় যেতে হয় মাটিরাঙ্গা উপজেলার দূর্গাবাড়ী দিয়ে। দূর্গমপথ পাড়ি দিয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হরিপদ ত্রিপুরাকে সঙ্গী করে শনিবার (৩ জুলাই ২০২১) মিলন ত্রিপুরার বাড়ীতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ বলেন, ১ম পর্যায়ে ঘরের তালিকায় নাম ছিল মিলন ত্রিপুরার কিন্তু দূর্গম এলাকা হওয়ায় ১ম পর্যায়ে ঘরটি নির্মাণ করা যায়নি। দূর্গম এলাকা সত্বেও ঘর নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং খুব দ্রুতই তার ঘর নির্মাণ করার ব্যাবস্থা করা হবে। ৩য় ধাপে এই বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তাৎক্ষণিক খাদ্য শস্য ক্রয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১’হাজার টাকা ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ৫শ টাকা তুলে দেন মিলন ত্রিপুরার হাতে।
উল্লেখ্য যে: সম্প্রতি মিলন ত্রিপুরার দূর্দশা নিয়ে ফেইসবুকে পোষ্ট করেন রানা ত্রিপুরা নামের এক যুবক। তা দেখে কোন কালক্ষেপণ না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ।