নুরুল আলম:: পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, উন্নত চিকিৎসা সেবা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও পাহাড়ি অঞ্চলের জনগনের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। তিন পার্বত্য জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন কাজে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুনাম অর্জন করে আসছে।
পার্বত্য এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে সরকারী জায়গাগুলো ইউপিডিএফ(মুল প্রসিত পন্থি)ও জেএসএস (মূল)এবং ইউপিডিএফ ডেমোক্রেট সন্ত্রাসী দলগুলো দখল করার অপপ্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে একের পর এক দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে চলছে।
তারাই খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এ জেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক অব্যাহত রয়েছে।
এ সকল সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন এলাকায় জুমঘর নির্মাণ করে জায়গাগুলোকে নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই দখল লড়াইয়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং ভেঙে ফেলছে আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের জেএসএস এর অংগ সংগঠন হিসেবে তুফান গ্রুপ নামে একটি সংগঠনের আর্বিভাব ঘটেছে এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টারিং এর মাধ্যমে নিজেদের প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে।
স্থানীয় জনগন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,খাগড়াছড়ির গুইমারা,সিন্দুকছড়ি, ঠান্ডাছড়ি,পঙ্খীমূরা এলাকায় সন্ত্রাসীরা নিজেদের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এবং ঘর ভেঙে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে সেনাবাহিনীসহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন এই বিষয়ে তৎপর রয়েছে, যাতে এ সকল দুষ্কৃতিকারী সংগঠনগুলী চাঁদাবাজি,অস্ত্রবাজি,ভূমি দখল এবং সাধারন মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।