নিজস্ব প্রতিবেদক
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির , বাইশারী – গর্জনিয়া সড়ক এখন মনে হয় যেন মরন ফাঁদ । দৈনিক কোনো না কোনো দূর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে । বিগত এক যুগ যাবত সড়কটি মেরামত না করায় প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী । তার পর ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ আট কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্য স্থানে ছুটছে লোকজন ।
গত ২০ শে জুন এ্যাম্বুলেন্স যোগে মৃত লাশ নিয়ে বড়বিল যাওয়ার পথে রাজঘাট নামক স্থানে রাস্তার বেহাল দশার কারণে লাশ নামিয়ে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়েছে । শিক্ষা ও জমিদারী প্রথায় এগিয়ে রামু উপজেলা ২ নং গর্জনিয়া ইউনিয়ন । এই ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস । উখিয়া , টেকনাফ সাবেক সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীর নানার বাড়িও এই ইউনিয়নে ।
অপরদিকে বর্তমান রামু কক্সবাজার সংসদ সদস্য সাইমুন সরওয়ার কমলও দাবী করেন এটা আমার এলাকা । তবুও রাস্তাঘাট দেখলে মনে হয় এখানে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই । অবহেলিত জনপদের রাস্তাটি তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিক লোকের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। পুরো এলাকাটি উন্নয়ন ও কৃষি ফলনশীল । শুকনো মৌসুমে কোনো রকম চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুম শুরু হলে দুঃখের আর সীমা থাকবে না । এসব কথা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল আলিম মোঃ বেলাল , মোঃ জসিম , সাইমুন হাসান মানু , জয়নাল আবেদীন , ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল হক মনু সহ অনেকে।
পার্বত্য বান্দরবান জেলার বাইশারী ইউনিয়নের আওতায় এক কিলোমিটার এবং দীর্ঘ আট কিলোমিটার সড়কটির অবস্থান রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন হয়ে কচ্ছপিয়া ভায়া গর্জনিয়া বাজার । ওই সড়ক দিয়ে দুটি উপজেলা সদর , নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা । সড়কটি মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ আট কিলোমিটার সড়ক পথে রাইখাট , বড়বিল , পূর্ব জুমছড়ি , গোয়াইঙ্গাকাটা , ঘিমছড়ি, সিকদার পাড়া জুমছড়ি , শাহ মোহামলের পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে কণ দশায় পরিণত হয়েছে ।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়কটির করুণ পরিণতির কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি বিষয়টি সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করেছেন । অচিরেই কাজ শুরু করা হবে। তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিত জনগণ সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য রামু – কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুন সরওয়ার কমল এমপির নিকট জোর দাবী জানান।