নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা থেকে অভিনব কায়দায় পাচার করা হচ্ছে ফার্নিচার।পুরাতন ফার্ণিচারের নাম করে নতুন ফার্ণিচার ক্রয় করে এবং পুড়নো ও ব্যবহারকৃত ফার্ণিচার নেওয়ার অনুমতি নিয়ে পরিমানের তুলনায় বেশি ফার্ণিচার পাচার করা হচ্ছে সমতলের বিভিন্ন জেলা শহরে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফার্ণিচার দোকান থেকে সেগুনসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের কাঠ দিয়ে তৈরি করা ফার্ণিচার কিছু সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছে জেলা শহর গুলোতে। সিন্ডিকেট চক্রটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বদলি কৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ফার্ণিচার নেওয়ার ছাড়পত্র সংগ্রহ করে এবং বন বিভাগের লোডিং চেক পয়েন্টের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে তৈরিকৃত ফার্নিচার বিভিন্ন কাঁচা মালের নিচে লুকিয়ে ট্রাকে ও কন্টেনার বোঝায় করে পাচার করে থাকে বলে সূত্র জানায়।
এসকল সিন্ডিকেট চক্র ফার্ণিচার পাচার করতে বন বিভাগের পরীক্ষণ ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে চেকের নামে পুরান ফার্ণিচারের পরিবর্তে নতুন ফার্ণিচার নিতে ছাড়পত্রের বৈধতা নিয়ে নেয়।
এসকল ফার্ণিচার ব্যবসায়ীরা পাঁচার স্বার্থে পুলিশকে ম্যানেজ করে ফার্ণিচার সমতলে নিয়ে বিক্রি করে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে সরকারী রাজস্ব। উজাড় হচ্ছে বনের মুল্যবান কাঠ, লাভবান হচ্ছে অবৈধ পাচারকারী চক্র। পাঁচার রোধে প্রশাসনিক সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। রোধ করা সম্ভব হবে অবৈধ পাচার।