নুরুল আলমঃ খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী। উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৬ বছরেও গড়ে উঠেনি উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম।ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, ভূমি অফিসের সেবা নিতে হয় পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে।
গুইমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসার না থাকায় ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছে অনেকে।ভুমি সমস্যা সমাধানের জন্য গুইমারাবাসীকে যেতে হয় পাশের উপজেলা মাটিরাঙ্গা কিংবা রামগড়ে।
সাম্প্রতি গুইমারা বাজার এলাকায় শিবু প্রসাদ ঘোষ ও শাহ আলমদের সাথে ভুমি বিরোধ নিয়ে আদালত থেকে তদন্তের জন্য মাটিরাঙ্গা সহকারী কমিশনার ভুমি কে দায়িত্ব দেওয়া হলেও অদ্যব্দি সে তদন্ত করা হয়নি।
অপরদিকে হাফছড়ি ইউনিয়নের ভূমি জটিলতা নিয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তদন্তের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা বেড়ে চলেছে। নানান কারন দেখিয়ে সরজমিনে অনুপস্থিত আমিন কানুঙ্গো (সার্ভেয়ার) ও সহকারী কমিশনার।
এলাকাবাসী জানান, গুইমারায় সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) না থাকায় আদালত হতে পাশের উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি কে বিভিন্ন তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে থাকে কিন্তু তারা সময়মত তদন্ত না করায় জটিলতা বেড়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদের নিকট গুইমারা উপজেলার অবকাঠামো এবং ভবন নির্মান সহ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুইমারা উপজেলার জমি বরাদ্দে সরকার কর্তৃক ৬ একর জায়গা হতে ১৭টি পরিবার কে ১৫ কোটি ৬৮ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে ১৪ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। গুইমারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও একটি বাড়ি একটি খামারের অফিস ভবন নির্মারের কাজ চলমান। সকল দপ্তরের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে, অন্যান্য দপ্তরের ভবন নির্মান কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এবং উপজেলা কার্যালয় হতে সকল সেবা গুইমারাবাসী পাবে।