নিজস্ব প্রতিবেদক:: গুইমারায় সরকারী খাস জায়গা অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠেছে। গুইমারা বাজার এলাকার আশেপাশের সরকারী খাস জায়গা অবৈধ দখল হলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেই। ফলে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন দোকানপাট ও ক্লাব নির্মান করছে দখলদাররা।
গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদ (উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়) কার্যালয়ের দক্ষিন পাশে সমবায় সমিতির অফিস (কো-অপারেটিভ অফিস)বর্তমানে জরাজির্ন অবস্থায় আছে যা পাকিস্থান শাসন আমলে নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি সে সময় রামগড় মহকুমার অধিনে ছিলো। বর্তমানে কো-অপারেটিভের জায়গার নাম করে ব্যাক্তি বিশেষ দোকান পাট নির্মাণ করে মোটা অংকের জামানত নিয়ে চারটি দোকান প্লট ও একটি ঘর ভাড়া দেয়। জায়গা ও দোকানের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পাকিস্থান আমলে কো-অপারেটিভের নামে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। যার কার্যক্রম কিছুদিন চালু থাকার পর স্বাধীনতার পড়ে বন্ধ হয়ে যায়।বর্তমানে উক্ত জায়গা অবৈধ দখলে রয়েছে।
উপজেলা সমবায় সমিতি মাটিরাঙ্গার অফিসের কর্মকর্তা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর সাথে যোগাযোগ করে জমির রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তাদের কাছে কো-অপারেটিভের নামে কোন জায়গা রেকর্ড ভুক্ত নেই বলে জানান।
গুইমারা উপজেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যালয়ের এবং চলাচল রাস্তার উত্তর পাশে সরকারী খাস জায়গার উপর নবারন সংঘ ক্লাব নামে একটি ক্লাব ঘর রয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যাক্ত। উক্ত ক্লাব মানদাতা আমলের সেই কমিটিতে সীমাবদ্ধ। সে কমিটির ছিল সভাপতি শাহাবুব হোসেন। তার সাথে জায়গার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ক্লাবটি সরকারী ভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতির কারনে ও ফান্ডের অভাবে ক্লাব ঘরটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে উক্ত ক্লাবটির নিবন্ধন নবায়ন করা হয়নি।
এদিকে, গুইমার উপজেলা ঘোষনার পরপরেই গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তাবিত জায়গায় মোটা অংকের টাকার লোভে ৭ থেকে ৮টি পরিবার ঘর-বাড়ি এবং বাগ-বাগিচা তৈরি করে প্রস্তাবিত জায়গা অবৈধ দখল করে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন তৈরিতে বাঁধাগ্রস্থ করে আসছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এছাড়াও গুইমারা বাজারের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে থাকা সরকারি খাস জায়গা যে যার মতো দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার ঘটনা ও ঘটেছে।