নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে, অপরাধীদের বিচার হচ্ছে না। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী এলাকার এক শ্রেণীর দুষ্টচক্র মালিকানা যাচায় না করে জোর করে গাছপালা কেটে নিয়ে এবং ভুমি দখল ও নানান ভাবে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আসছে। জনগনের জান মাল রক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনের কিন্তু এই ব্যাপারে তারা নীরব ।
গত ১৮ মার্চ ২০২১ সকালে এরশাদ মিয়ার নির্দেশে কাঠ ব্যাবসায়ীরা মালিকানা যাচায় না করে ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে শাহ আলম ও আবু তালেব গংদের নামীয় জায়গা হইতে ০৩ (তিন) টি চাপালিশ গাছের মধ্যে ০১ টি কেটে ফেলে এবং অপর দুইটি কাটার জন্য প্রস্ততি নিলে তারা দেখতে পেয়ে তাদের কে গাছ কাঁটতে বাঁধা দিলে বাধা অমান্য করে। পরে তৎক্ষণিক ৯৯৯-এ কল দিলে মানিকছড়ি থানার কর্তব্যরত পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ ব্যাপারে মানিকছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। যা বর্তমান মানিকছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) এর দায়িত্বে আছে। দীর্ঘদিন গত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আলী হোসেনের প্ররচণায় ভুয়া কাগজ পত্র সহ এরশাদ মিয়া মানিকছড়ি উপজেলা কার্যালয়ে নির্বাহী অফিসারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে,মানিকছড়ি উপজেলা কার্যালয় থেকে ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার শাহজাহান সরকারসহ কয়েকজন লোক আদালতের পুর্বের রায় অমান্য করে না জানিয়ে শাহ আলম ও আবু তালেব গংদের জায়গা মাপার জন্য যায়। তৎক্ষনিক ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক নুরুল আলমকে জানালে তিনি দ্রুত খাগড়াছড়ি থেকে মানিকছড়ি উপজেলা ভুমি অফিস কার্যালয়ে উপস্থিাত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পূর্বের চুড়ান্ত ভুমি সংক্রান্ত রায়ের কপিসহ একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এবং ভুয়া কাগজ দিয়ে হয়রানির জন্য এরশাদ মিয়া সহ শাহিন,শাহজাহান,মঙ্গল মিয়ার বিচার দাবী করেন।
এইসব প্রতারকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হলে প্রতারনাকারীরা তাদের অবৈধ কর্মকান্ডে আরো বেশি উৎসাহী হবে।
শাহ আলম ও আবু তালেব জানান, আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে ভুমি দখল করার চেষ্টা করলে ইন্দনদাতা সহ ভুয়া কাগজ লিখে যত্রতত্র অভিযোগ করে হয়রানি এবং দেওয়ানী ২১ নিয়ম ১১ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থাা নেওয়া হবে।