নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত নীরহ গরিবদের কে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মুলক মামলা, হামলা, শাররীক নির্যাতন সহ নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে মোঃ সালেহ উদ্দিন, মোঃ ফরিদ মিয়া, মোঃ হানিফ সহ একটি দুষ্টচক্র। ইতিমধ্যে ফাতেমা বেগম নামের এক মহিলা অভিযোগ করেন যে তার নিজ বাড়িতে মোঃ ফরিদ মিয়া কে ভাড়াটিয়া রাখেন কিন্তু পরবর্তিতে উক্ত ভাড়াটিয়া ফাতেমা বেগমের বাসা অবৈধ দখল করে। এই বিষয়ে ফাতেমা বেগম প্রতিবাদ করলে ছালেহ উদ্দিনের মদদে তাকে বেধরক মারধর করে ভাড়াটিয়া ফরিদুল মিয়া এর স্ত্রী হাসিনা বেগন।
ছালেহ উদ্দিনের পরিবার ফাতেমা বেগম, সুফিয়া বেগম, স্বামীঃ মোঃ হানিফ, নূর খাতুন স্বামীঃ জবেদ আলী, কহিনুর বেগম, স্বামীঃ জাকির হোসেন,আজগর আলী, জালাল, বেলাল, সিদ্দিক ও শহিদুলের মা হাওয়া বিবি সহ আরো অনেক পরিবার কে হয়রানি করে আসছে বলে তারা জানান। গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত এসকল পরিবারের বসতবাড়ির চারপাশে জোর পুর্বক বেড়া দিয়ে জায়গা দখল এবং তাদের সৃজনকৃত বাগিচা থেকে জোর করে ফল পেড়ে এবং বসত বাড়ী ছেড়ে যাওয়ার জন্য হয়রানি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য যে, ফাতেমা বেগম সহ বাকী সকলেরা দুই যুগের ও বেশি সময় ধরে উক্ত স্থানে বসবাস করে আসছেন কিন্তু ছালেহ উদ্দিনের পরিবার পরবর্তিতে এই গুচ্ছগ্রামে এসে পার্শবর্তী সকলের অপর অত্যাচার এবং নান ভাবে হয়রানি শুরু করে ।
গত জুন/২০২০ সালে ফরিদ মিয়া ফাতেমা বেগমের নিকট হতে একটি কক্ষ ভাড়া নেয় এবং পাঁচ মাস ভাড়া দেওয়ার পর থেকে আর ভাড়া না দিলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে ভাড়া না দিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মোঃ হানিফ মিয়া এসে ফাতেমা বেগম কে কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে মারাত্নক জখম করে। এ বিষয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে গুইমারা থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয় , ডায়েরী নং-৯২৩।
পরবর্তিতে মোঃ সালেহ উদ্দিনের নির্দেশে মোঃ ফরিদ মিয়া ও মোঃ হানিফ ফাতেমা বেগমের সৃজনকৃত গাছ-গাছালি কেটে ফেলে যার ও কোন বিচার হয়নি। এবং এই চক্রটি মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করছে। এ সকল বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গুইমারা, হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে জানালের অদ্যব্দি কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এসকল হয়রানি ও অত্যাচার হতে পরিত্রাণ চেয়ে এবং জোর দখল করা তার একমাত্র বসত বাড়িটি ফিরে পেতে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন ফাতেমা বেগম ।
এদিকে সালেহ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ফাতেমা বেগম সহ আরো অনেকের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুবেদার নুরুল ইসলামের ওয়ারিশের থেকে জায়গা ক্রয় করেছেন বলে জানান। এবং ক্রয়কৃত জায়গায় ফাতেমা বেগম সহ প্রায় ৮ পরিবার দখলে রয়েছে। এবং ফরিদের নিকট ফাতেমার বাড়ি দখলে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলে আমরা প্রথমে ভাড়া ছিলাম পরবর্তিতে ফাতেমা বেগম ২৫ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারন করে বাড়ি বিক্রি করেন যার ২০ হাজার টাকা সে নগদ গ্রহন করে এবং আরো ৫ হাজার টাকা বাকী আছে। যার সূত্র ধরে ঝগড়া বিবাদ কালে হাসিনা বেগম ফাতেমা বেগম কে মারধর করে বলে তিনি স্বীকার করেন।
কিন্তু বাড়ি বিক্রির ব্যাপারটি ফাতেমা বেগম মিথ্যা বলে জানান এবং বলেন আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য ছালেহ উদ্দিন ফরিদকে দিয়ে আমার বাড়ি জোর দখল করে।